অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারের অকাল প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত গোটা টলিউড। ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরের লড়াইয়ের পর মাত্র ৬৫ বছর বয়সেই চলে গেল তিনি। অভিনয় জীবনের চার দশক সিনেমার পাশাপাশি মঞ্চ, টেলিভিশন নিজের ছাপ রেখে গেলেন।
অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অনস্ক্রিন মেয়ে মিষ্টি সিং। ১২ বছর আগে ছোটপর্দায় একসঙ্গে কাজ করেছিলেন শ্রীলা মজুমদার এবং মিষ্টি সিং। স্টার জলসার ‘আঁচল’ ধারাবাহিকে ভাদু ও টুসু অর্থাৎ মিষ্টি সিং ও শ্রীপর্ণা রায়ের অনস্ক্রিন মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রায়ত অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার। সেই সময় মা এবং মেয়ের জুটি দর্শকমহলে নজর কেড়েছিল।
অনস্ক্রিন মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়ছেন পর্দার ভাদু। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘যখন আমি আঁচল-এর কাজ শুরু করি, ওটাই ছিল আমার প্রথম বড় কাজ। প্রত্যেকটা মুহূর্তে ইমোশনগুলো ক্যামেরার সামনে বার করে আনতে শ্রীলাদি সাহায্য করত। ওঁনাকে দেখে অনেককিছু শিখেছি। ক্যামেরার দিকে কীভাবে তাকাতে হয়, সবসময় একটা আয়না রাখত সেটা ধরে ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলটা বুঝত।’
‘শ্রীলাদি সবার সঙ্গে খুব আনন্দ করে সময় কাটাত। ওঁনার স্বভাবটাও খুব মিশুকে। গল্প-আড্ডা, একসঙ্গে খাবার এনে খাওয়া, উনি গোটা মেকআপ রুম জমজমাট করে রাখত শ্রীলাদি।’
এই সংবাদমাধ্যমের কাছে মিষ্টি সিং আক্ষেপের সাথে জানান, ‘আমার বিয়েতে উনি এসেছিলেন… কী যে খুশি ছিলেন। আমাদের শেষ দেখা হয় বিজয়া সম্মিলনীতে মাস কয়েক আগে। তবে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। লাস্ট বার যখন ফোনে কথা হল, বলেছিল চল, আমরা কফি খেতে যাই। তবে ওই হব হব করেও কফি খাওয়ার প্ল্যানটা ঠিক হল না। এর মাঝেই দুম করে শ্রীলাদি চলে গেল… ভাবতেও পারছি না, অবিশ্বাস্য! আফসোস হচ্ছে কেন কফিটা খেতে গেলাম না।’
সূত্রঃ bangla . hindustantimes . com