একসময় একটা কাজের জন্য ফিরিয়ে দিতেন বড় পরিচালকরা, আজ বাংলা পেরিয়ে বিশ্বে প্রশংসা পাচ্ছেন জিতু কামাল

জিতু কামাল

ছোটপর্দা থেকে অভিনয় জগতের জার্নি শুরু। ‘মিলন তিথি’, অর্ধাঙ্গিনী, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’, ‘গুড়িয়া যেখানে গুড্ডু সেখানে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে ছোটপর্দায় পরিচিত লাভ করেন অভিনেতা জিতু কামাল। কিন্তু আজ একটা ছবিতে অভিনয় করে পৌঁছে গেছেন বিশ্বের দরবারে।  এই মুহূর্তে তাকে নিয়ে দর্শকের হৈ চৈ চোখে পড়ার মতো।

জিতু কামাল

অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’ ছবিতে জিতু কামালের অভিনয় দেখে মুগ্ধ সকলে। কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়ে তৈরি এই ছবি।  মাত্র ৬ দিনে দেড় কোটি টাকার ব্যবসা। বাংলা সহ অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের, দুবাইয়ে পৌঁছে গেছে তার অভিনীত ছবি। পর্দায় জিতু যেন অবিকল সত্যজিৎ রায়। একটাই ছবিতে নিখুঁত অভিনয় দিয়ে এত প্রশংসা পাওয়া ছেলেটিকে একদিন অপমানিত হতে হয়েছিল এই ইন্ডাস্ট্রিতেই।

জিতু কামাল

বহু বছর ইন্ডাস্ট্রিতে থাকা সত্ত্বেও ছোটপর্দায় হাতে গোনা কাজ। তারপর বড়পর্দায় সুযোগ। তাও আবার ‘অপরাজিত’ মতো ছবিতে অভিনয়। এত সাফল্যে পাওয়ার আগে অভিনেতাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে। সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন জিতু।

জিতু কামাল

এক সাক্ষাৎকারে একবার তিনি জানিয়েছেন, একটা সময় ছিল যখন একটা কাজের জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসে থাকত হত বাইরের গেটে। ভেতরে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হত না। এমনকি অধিকাংশ সময় ফিরিয়ে দিতেন বড় পরিচালক এবং প্রযোজকরা।

এক পরিচালকের কাছে ছবি নিয়ে গেলে তিনি জানান ‘তুমি নতুন, তোমার কোনও অভিজ্ঞতা নেই, তাই অপেক্ষা করতে হবে”। থেমে যাননি জিতু। দিনের পর দিন এভাবেই কঠোর লড়াই করেছেন, দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছেন, প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আর সেই পরিশ্রমেই আজ গোটা বাংলা পেরিয়ে বিশ্বের মানুষ তার অভিনয় দেখেছেন, প্রশংসা জানাচ্ছেন। কিন্তু অভিনেতা ক্ষোভ একটাই, “নতুনদের সুযোগ না দেওয়া হলে তাঁরা অভিজ্ঞতা পাবে কী করে?

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here