বহু বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর জনপ্রিয় ধারাবাহিক ওগো বধূ সুন্দরী। সিরিয়ালের কাহিনী সমাপ্তি হলেও ধারাবাহিক এখনও মানুষের মনে জাগ্রত। একটা সময় ছিল যখন সন্ধ্যে হলেই এই ধারাবাহিকের জন্য মুখিয়ে থাকতেন দর্শক। একটা এপিসোডও মিস দিতেন না তারা।
২০০৯ সালে স্টার জলসার পর্দায় এসেছিল ধারাবাহিক ওগো বধূ সুন্দরী। মা হারা মেয়ে ললিতার জীবনের কাহানী এখনও মানুষের মনে রয়েছে। অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর প্রথম এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন।
ঋতাভরী চক্রবর্তী ললিতা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যে ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন। বাড়ির বড় মেয়ে বলে একটু আদুরের তাই যেমন রাগ তার তেমনি মেজাজ। ললিতার বাবা ও বোন চেয়েছিলেন ললিতাকে সুখে-শান্তিতে রাখতে। তাই তার বাবা এক যৌথ পরিবারে তার বিয়ে ঠিক করেন। কিন্তু বিয়েতে রাজি ছিলেন না ললিতা। কারণ পাত্রটি ভোলাভালা।
অনেক বাঁধা পেরিয়ে ললিতা বিয়ের পিঁড়িতে বসলে স্বামী ঈশানকে তার মোটেই পছন্দ নয়। তাই সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করে বৌভাতের দিন পালিয়ে যাবে সে। কিন্তু পরিবারের বাঁধনে মায়া পড়ে যান ললিতা। শ্বাশুড়ীর ভালোবাসায় এবং পরিবারের ভালোবাসায় ধীরে ধীরে পাল্টে যায় সেই বদমেজাজি মেয়েটি। শ্বাশুড়ীর মধ্যে নিজের মাকে খুঁজে পান। পরে যদিও স্বামীর প্রেমেও পড়েন। এইভাবেই জনপ্রিয় ধারাবাহিক ওগো বধূ সুন্দরী গল্প বুনেছে।
আজকালকার শাশুড়ি-বৌমা সম্পর্কের চেয়ে ভিন্ন ছিল এই ধারাবাহিকের শাশুড়ি-বৌমা। কুটকাচালি নয়, বরং যৌথ পরিবারের মিলমিশে আজও এই ধারাবাহিক সুপারহিট। তাই এখনও অধিকাংশ নেটিজেন চ্যানেলের কাছে দাবী জানায় আরও একবার এই ধারাবাহিককে টিভির পর্দায় আনার জন্য।