জি-বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’, যেখানে রাইয়ের জীবনে নেমে এসেছে চরম সংকট। তার এই বিপদের দিনে পাশে নেই পরিবার। এমনকি পাশে থাকেনি স্বামী অনির্বাণও।
তাতে কি, রাইয়ের জীবনে ঢাল হত্যে দাঁড়িয়েছে তার দাদার বউ মানে রাইয়ের বউমণি। পাশাপাশি রাইয়ের ছোট বোন স্রোতও। শুরু থেকে বাড়ির বাকি সকলে রাইয়ের বিপক্ষে গেলেও সবসময় পাশে থেকেছে তার বউমণি। বরং ননদের হয়ে বাকি সবার সঙ্গে লড়াই করে গিয়েছে মিষ্টি ওরফে রাইয়ের বউমণি।
ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট অনুযায়ী, মারণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত রাই। তার এই অসুস্থতায় মা হিসাবে নন্দিতার কোন ভুমিকাই গল্পে প্রকাশ পায়নি। বরং জীবনের সবথেকে কষ্টকর দিনগুলোতে রাইকে একা করে দিয়েছে তার মা। আর সেই জায়গায় রাইয়ের মায়ের স্থান করে নিয়েছে তার বউমণি।
এমনকি নিজের মেয়ের কথা একবারও না ভেবে নিজের একমাত্র সম্বল সোনার গয়না গুলো বন্ধক দিয়ে সেই টাকা স্রোতের হাতে তুলে দেয় রাইয়ের চিকিৎসার জন্য। রাই সেই টাকাটা নিতে অস্বীকার করলে, তার বউমণি জানায়, চরকিকে দেখার জন্য তার দুই পিসিমণি আছে। তা নিয়ে কোন চিন্তা নেই। আপাতত বউমণি আর স্রোত মিলে রাইকে সুস্থ করে তোলার লড়াইয়ে নেমেছে
গল্পে ক্রমশ বউমণির চরিত্রটি দর্শকদের অত্যন্ত প্রিয় একটি চরিত্র হয়ে উঠেছে। গল্পের মত বাস্তব জীবনেও ননদ বৌদির সম্পর্ক যেন এমনটাই হয়, সেটাই আশা রাখে দর্শকমহল।