অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় বাংলা চলচ্চিত্র জগতের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এককালে একাধিক সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। যদিও বড়পর্দা থেকে এখন নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন।
সিনেমা ছাড়াও ৬০ বছর বয়সে এসে ‘সর্বজয়া’ সিরিয়ালের নায়িক হন অভিনেত্রী। এতবছর পরেও ছোটপর্দায় পা রেখে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যা। বয়স হলেও তার প্রতিভা কমেনি তা দর্শক প্রমাণ পেয়েছিলেন ‘সর্বজয়া’র হাত ধরেই। শুধু তাই নয়, ‘আমি কলকাতার রসগোল্লা’ গানে তার সেই নাচার কথা আজও কেউ ভুলতে পারেননি।
জানা যায়, ১৮৬৮ সালে রসগোল্লা আবিষ্কার করেছিলেন উত্তর কলকাতার ময়রা নবীনচন্দ্র দাস। স্ত্রী ক্ষীরোদমণি দেবীর আবদারেই নাকি বাঙালির ‘সেরা মিষ্টি রসগোল্লা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।
এরপর ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রক্তে লেখা’ ছবিতে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সাথে অভিনয় করেছিলেন দেবশ্রী রায়। ছবিতে তাকে এক পকেটমারের চরিত্রে দেখা যায় এবং আর সেখানেই ‘আমি কলকাতার রসগোল্লা’ গানে রাস্তায় নায়িকার নাচের দৃশ্য দর্শকের মনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল যা আজও সুপারহিট।
বিখ্যাত এই গানটি গেয়েছিলেন কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, সুর দিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি এবং গানের কথা ছিল পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জনপ্রিয় এই গানের কারণেই আপামর বাঙালির কাছে আজও তিনি সেই কলকাতার রসগোল্লা। এমনকি অভিনেত্রী নিজেও তাই মনে করেন যে তিনি ছাড়া আর কেউ কলকাতার রসগোল্লা হতে পারবে না।
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে জানান, “তিনি ছাড়া আর কেউ কলকাতার রসগোল্লা হতে পারবে না, এই সিনেমার রিমেক হওয়া সত্ত্বেও অভিনেত্রীর ধারে কাছে কেউ যেতে পারেনি আর পারবেও না। এমনটাই চ্যালেঞ্জ অভিনেত্রীর।” তবে নিজে কলকাতার রসগোল্লা হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজে কি খেতে পছন্দ করেন বাঙালির এই প্রিয় মিষ্টি? উত্তরে তিনি জানান, রসগোল্লা খেতে ভালোই পছন্দ করেন তিনি, এমনকি একসাথে বেশ কয়েকটি মিষ্টি খেতেও পারেন তিনি।