“কোন কাজ ছোট নয়, প্রয়োজনে রাস্তায় আলু-পটল বেচব”, মুখ খুললেন অপরাজিতা আঢ‍্য

অপরাজিতা আঢ‍্য

জি-বাংলায় সদ্য শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’। যেই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন টলির জনপ্রিয় দক্ষ অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ‍্য। ধারাবাহিকে এক অন্যরকম ভূমিকায় তাকে দেখছে দর্শক। এক সাধারণ পরিবারে বেঁচে থাকার লড়াই তুলে ধরা হয়েছে। সিরিয়ালে মুদি দোকান চালায় লক্ষ্মী কাকিমা। ঋণ শোধ করতে অতিরিক্ত আয়ের জন্য মেলায় ঘুগনির দোকানও দিয়েছে সে। এটা তো পর্দার কাহিনী, কিন্তু নিজের বাস্তব জীবনেও এইধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে অপরাজিতার। নিজের জীবনের স্ট্রাগলের কথা এক সংবাদমাধ্যমে খুলে বললেন অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ‍্য একজন প্রতিভাবান শিল্পী। যেমন নাচ, তেমনি অভিনয়। কথায় আছে, “তরল যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রের আকৃতি ধারণ করে”। এই অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে ঠিক তেমন। যেই চরিত্রে তাকে দেওয়া হয় সেই চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন। সিনেমা হোক বা সিরিয়াল, অপরাজিতা আঢ‍্য মানেই পর্দায় এক অন্য মাত্রা এনে দেয়। এমন একজন অভিনেত্রী যার, নেই কোনও অহংকার, নেই বিলাসিতা। আর পাঁচটা সাধারণ গৃহবধূর মতোই জীবনযাপন করেন তিনি।

অভিনেত্রী মনে করেন, যিনি নিজেকে ধরে রাখার ক্ষমতা জানেন, তিনিই সুপারস্টার। তার মতে, কোন কাজ ছোট নয়। সৎ পথে, সব কাজই মহান। অভিনেত্রী জানায়, বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল খারাপ হয়ে যায়। মাকে সহযোগিতার জন্য একসময় পাড়ায় স্টেশনারি দোকান চালাতেন তিনি। বড়বাজার থেকে গিয়ে নিজেই দোকানের মাল নিয়ে আসতেন। কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সেই দোকান বন্ধ করে দিতে হয়।

অভিনেত্রীর বরাবর শখ ছিল নিজের পরিচয় গড়ার। তাই এখনও যদি তাকে রাস্তায় আলু-পটল বেচতে হয়, তাতেও রাজী। রাস্তায় দাঁড়িয়ে চপ বিক্রি করতেও লজ্জা নেই অভিনেত্রীর। কারণ তিনি মনে করেন সব কাজের মধ্যে শিল্পবোধ রয়েছে এবং সব কাজই সুপারস্টার বানাতে পারে।

অভিনেত্রী জানায়, ছোটবেলায় পাড়ার দোকানে চার আনার চানাচুর কিনতে যেতেন। সেলিব্রেটি হওয়ার পরও এখনও সেখানে যেতে লজ্জা পান না তিনি।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here