মায়ের জন্যই প্রথম লিড রোলে ‘না’, জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকের অভিনেত্রীর অজানা কাহিনীতে অবাক হবেন আপনিও

জগদ্ধাত্রী

অনেক ছোট বয়সেই অনুভব করেছেন বাবা না থাকার যন্ত্রনা, বাবা চলে যাওয়ায় বাস্তবটাকে মেনে নিতে হয়েছিল খুব তাড়াতাড়ি। বুঝতে হয়েছিল কে আপন আর কে পর। কথা হচ্ছে বাংলার টেলিদুনিয়ার অতি পরিচিত মুখ অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে।

একসময় ‘করুণাময়ী রাসমণি’র সারদামণি’, ‘কড়িখেলা’ ধারাবাহিকের মতো একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের একটি ক্যাফেও চালান অভিনেত্রী।

ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়কে দর্শক বেশিরভাগ ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রেই অভিনয় করতে দেখেছেন। নায়িকা হওয়ার গুণ থাকা সত্ত্বেও পার্শ্বচরিত্রেই অভিনয় করে গেছেন অভিনেত্রী। নিজের ইচ্ছাতেই করেননি নাকি এর পিছনে ছিল অন্য কোন কারণ।

উত্তর কলকাতার বনেদি পরিবারে জন্ম ত্বরিতার। অল্প বয়সেই বাবাকে হারানোয় শুরু হয়েছিল মায়ের সাথে দুই বোনের জীবন যুদ্ধের লড়াই। একান্নবর্তী পরিবারে জন্ম হওয়া সত্বেও পাশে পাননি কাছের মানুষদের।

তবে কোন বাধাই আটকে রাখতে পারেনি ত্বরিতার প্রতিভাকে। প্রথম থেকেই পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিলেন। তাই ক্লাস টেনের পর সায়েন্স নিয়ে পাশ করে নিউট্রিশন নিয়ে বিএসসি করেছেন, তারপর এমএসসি। পড়াশোনার মাঝেই হয়েছিল অভিনয়ে হাতেখড়ি।

ত্বরিতা

তবে মায়ের নির্দেশ ছিল আগে পড়াশোনা শেষ করা তারপর অ্যাাক্টিং। তাই লিড রোলে অভিনয়ের সুযোগ আসলেও নিজেই তা করেননি। কারণ সেই সময় তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল পড়াশুনো। কিন্তু একাধিক নায়িকার চরিত্র ছেড়ে দেওয়ায় তার কোনও আক্ষেপ নেই ছোটপর্দার শুভ্রার । তাছাড়া টেলিভিশনে নায়িকা হওয়ার লোভ কোনওদিন ছিল না অভিনেত্রীর।

জি বাংলার হিট মেগা ‘জগদ্ধাত্রী’ তে অভিনীত ‘প্রীতি’র অভিনয় জীবনের শুরুটা ছিল খানিক এমনই। শুরুতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হলেও আজ কেরিয়ারে নিজের পজিশন নিয়ে যথেষ্ট খুশি।