‘রাক্ষসীর মতো দেখতে, গায়ের রং কালো’…কটাক্ষ নেটিজেনদের! ‘রাক্ষসী বলেই হয়তো’… পালটা জবাব ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের তারা সুন্দরী মা ওরফে চৈতালী চক্রবর্তী

চৈতালী চক্রবর্তী

সম্প্রতি জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ বিশেষ এক চরিত্র দর্শকের নজর কেড়েছে। তিনি হলেন ভৈরবী তারা সুন্দরী মা। আর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী চৈতালী চক্রবর্তী কে।

তবে অনেকেই হয়ত জানেন না অভিনয় জীবনে অভিনেত্রীর এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে কষ্টের লড়াই, একরাশ অপমান, যা অভিনেত্রীকে আজও সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। একসময় অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করে বলা হত তিনি আর পাঁচটা সাধারণ বাঙালি মেয়েদের মতো নন, অত্যাধিক লম্বা, গায়ের রং কালো, মুখের থেকে চোখ বড়, তাই হিরোইন হওয়ার স্বপ্ন না দেখাই ভালো।

বন্ধুদের হাসির পাত্র হওয়া, আত্মীয়স্বজনদের কটূকথা, এসবই ছিল অভিনেত্রীর জীবনের নিত্যসঙ্গী। ক্লাস টুয়েলভের পর বাবাকে জানিয়েছিলেন তিনি অভিনেত্রী হতে চান। অভিনয়জীবনের শুরুতে অপমান সহ্য করেও নিজের জেদ, পরিশ্রমই সাহস দিয়েছিল তাকে। খ্যাতনামা পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ‘লাল দরজা’ ছবির জন্য অভিনেত্রীকে সুযোগ দেন। কিন্তু সেই সময় চৈতালী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ফলে কাজটি হাতছাড়া হয়।

পরে মেয়ে বড় হয়ে মায়ের এই আত্মত্যাগের কথা জানতে পারলে চৈতালীকে মেয়ে বলেন, “তুমি এত বড় সুযোগ কেন ছেড়ে দিলে? দরকার হলে আমায় অ্যাবর্ট করে দিতে!” পরিপ্রেক্ষিতে চৈতালী জানান, “না, মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ে হিসেবে আমার কাছে মূল্যবোধটাই বড়। একটা ছবি পাইনি তো অন্যটা করব, কিন্তু একটা প্রাণকে হত্যা করে নয়।”

আজও অভিনেত্রীকে ‘রাক্ষসী’ বলে কটাক্ষ করে থাকে নেটিজেন। তার উত্তরে চৈতালী বলেন, “রাক্ষসী বলেই হয়তো রোজ কাজ পাচ্ছি, আর তারা হন্যে হয়ে স্টুডিও পাড়ায় ঘুরছে।”

Previous articleএবার বড়পর্দায় তৃণা সাহা! ‘পরশুরাম’ ছাড়ছেন তৃনা?
Sudeshna Jana
হাই, আমি সুদেষ্ণা জানা। আমার প্যাশন লেখালেখি করা। আমি একজন লেখিকা। মানুষকে এন্টারটেইনমেন্ট করতে পছন্দ করি। তাই বিনোদন সংক্রান্ত বিষয় লেখালেখি করতে বেশি পছন্দ। দর্শকদের এন্টারটেইনমেন্ট দেওয়ার জন্য বিশ্বের সমস্ত ধরণের বিনোদন নিউজ তাদের কাছে এগিয়ে দেওয়াই আমার কাজ। বিভিন্ন ধরণের বিনোদন পেতে আমাদের এই পেজে অনুসরণ করুন।