সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে ট্রোল করা হচ্ছে দিদি নাম্বার ওয়ান এপিসোডের একটি প্রোমো ভিডিও নিয়ে। যেই এপিসোডে সুন্দরবনের এক বাসিন্দা তার স্বামীর বাঘের মুখ থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসার গল্প করছেন।
জ্যোৎস্না দেবী জানিয়েছিলেন, জামাইকে বাঘে নিয়ে গিয়েছে কিছু বছর আগে। তারপর থেকে মেয়ে আর ৬ বছরের নাতনি তাদের সাথে থাকে। সংসারের অভাব এবং পেটের দায়ে তিনি আর তার স্বামী বের হন মাছ-কাঁকড়া ধরতে। আর সেখানেই তার স্বামীর পিছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। কোনও মতে প্রাণ বাঁচাতে পারলেও তার স্বামীর হাত চিরতরে অকেজো হয়ে গিয়েছে। হাত নাড়ানোর ক্ষমতা নেই এমনকি জামার হাতা তেও হাত ঢুকিয়ে পড়তে পারেন না। এ প্রমো ভিডিও সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির ট্রোল ভরে ওঠে। নেটিজেনদের মতে, জি-বাংলা টিআরপি রেটিং বাড়ানোর জন্য দিদি নং ওয়ানের সেটে গল্প বানানো হয়। অনেকে আবার মিম ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আপলোড করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল তার জামার হাতার হাত নেই তবে তার জামার নিচের দিকে হাতের কিছুটা অংশ দেখা যাচ্ছিল সেই নিয়ে ট্রোল করতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকজনেরা।
পুরো বিষয়টি না জেনেই অসহায় গরীব এই পরিবারকে নিয়ে তাচ্ছিল্যের বন্যা বইয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সব কটাক্ষের জবাব দিলেন জি-বাংলা চ্যানেল। তাদের পেজ থেকে সেই পর্বের পুরো ভিডিওটি আপলোড করা হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে পুরো ভিডিওটা সত্যি। এর মধ্যে কোনও ‘ভুয়ো’ নেই। ভিডিওতে নিজের জীবনের পুরো গল্প শুনিয়েছেন জ্যোৎস্না দেবী। কাহিনির শেষে তিনি জানান, “মৃত্যু ছাড়া আর কোন গতি নেই”। জ্যোৎস্না দেবীর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রচনা ব্যানার্জি। এই লড়াইয়ে জি বাংলা এবং দিদি নাম্বার ওয়ান এর সব সময় তার পাশে থাকবে।
পুরো এপিসোডের ঘটনা সামনে এনে ট্রোলারদের যোগ্য জবাব দিলেন জি-বাংলা। ভিডিও দেখার পর অনেক নেটিজেন জি-বাংলা সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন।