আশাকরি, কম-বেশি সকলেই ডালহৌসির ভাতের হোটেল নন্দিনীকে চেনেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি স্মার্ট দিদি হিসাবেও পরিচিতি পেয়েছেন। করোনা কালে বাবার পাশে এসে দাঁড়ান নন্দিনী।
বাবার ছোট ভাটের হোটেলটা বড় করার স্বপ্ন নিয়ে নিজের চাকরি ছেড়ে হোটেলে দায়িত্ব নিজে কাঁধে তুলে নিয়েছিল নন্দিনী। তার ইউটিউবারদের সুবাদে রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে উঠেছিলেন। অসংখ্য মানুষ শুনেছিলেন তার জীবন সংগ্রামের গল্প। সেই সময় পেয়েছিলেন প্রশংসা তবে জনপ্রিয়তা পাবার পর থেকে তার নিন্দুকের সংখ্যা কম ছিল না।
কিছু ভাইরাল ভিডিওতে তার নিজের বাবার প্রতি ব্যবহার দেখেই অনেকের কাছ থেকে কটাক্ষ শোনেন। তবে নিন্দুকের সমালোচনা তুড়ি মেরেই এগিয়ে গিয়েছিলেন নিজের লক্ষ্যে। ডালহৌসির তার ছোট ভাতের হোটেলে খাওয়ার জন্য লম্বা লাইন দিয়ে ভিড় করতেন ক্রেতারা। পরবর্তীকালে নিউটাউনে নিজের একটি হেঁশেল খোলেন নন্দিনী।
তবে ডালহৌসির ভাতের হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হ্যাঁ, ফুটপাতের উপর তাদের হোটেল উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জোর করেই। এক ভিডিওতে এমনটাই বলতে শোনা গেল নন্দিনীকে।
স্মার্ট দিদি জানান, “তাঁর ডালহৌসির দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাকে আর তার বাবাকে দোকান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। জোর করেই উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
নন্দিনী বলেন, “আমার বাবাকে ভাড়ায় দিয়েছিল। বাবা লকডাউনের আগে নিয়েছিল। নিজের জিনিসে প্রভাব খাটানো যায়। অন্যের জিনিসে যায় না।’ আপাতত নিউটাউন চত্বরে তিনি যে দোকান খুলেছেন সেখানেই তার ব্যবসাটাকে চালাবে।”