কোটি টাকার ঋণের বোঝা! ‘আমার মেয়ে বলত, আকাশের তারা হয়ে যেতে চায়’, বললেন ‘অগ্নিপরীক্ষা’ খ্যাত অভিনেত্রী স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায়

 অভিনেত্রী স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায়

ছোটপর্দায় একসময় দাপিয়ে কাজ করেছেন অভিনেত্রী স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায়। অগ্নিপরীক্ষা ধারাবাহিকের দোয়েল চরিত্রে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এরপর একাধিক ধারাবাহিকে চুটিয়ে কাজ করছেন। যদিও বর্তমানে অভিনয় জগত থেকে বিদায় নিয়েছেন। নিজের ক্যাফের ব্যবসা ‘আবার বৈঠক’-এর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।

TV9 বাংলাকে অভিনেত্রী স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায় মা হওয়ার জার্নি ভাগ করে জানান, ‘একজন সন্তানকে মানুষ করা মানে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল, সেটা তুলে ধরা। আমার যে আদর্শ সেটাও কতটা ঠিক-কতটা ভুল কী করে জানব! নিজের আদর্শে একজন বাচ্চাকে মানুষ করা মানে মাটির পুতুল গড়ে তোলা। কিছুই জানে না সে।’

অভিনেত্রী আরও জানান, আমার জীবনের কিছু কথা বলি। পথ চলতে গিয়ে অনেক সময়ে মনে হয়, একটা বাচ্চা সঙ্গে আছে বলে, হয়তো পারব না। কাজটা নেব না! আমার ক্যাফে তৈরি করেছিলাম হায়দরাবাদে। তখন বাচ্চাটা খুব ছোট। ওর সাইকোলজিকাল প্রবলেম শুরু হয়। মা কাছে থাকছে না। বাবা কাছে নেই। আমার মেয়ে বলত, আকাশের তারা হয়ে যেতে চায়। তার আগে দিদা মারা গিয়েছিলেন বলে আমরা বলতাম, আকাশের তারা হয়ে গিয়েছে। সেটা শুনে ওরকম বলত। সেই সময় হায়দরাবাদ ছেড়ে আমাকে চলে আসতে হয়। ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটা ঋণের ধাক্কায় পড়েছিলাম। তারপর করোনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই ধাক্কা আজও সামলাচ্ছি। শারীরিকভাবেও অনেক সমস্যা এসেছে। যখন বাচ্চাটাকে দুধ খাওয়াচ্ছি, তখন অনেক কাজের চাপ। বাচ্চাটাকে ছেড়ে যেতে পারছি না। বাচ্চারও খিদে পেয়েছে। হরমোনের কারণে আমিও তখন ভেসে যাচ্ছি দুধে। সেই সময়টা খুব অসহায় মনে হতো। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, বড় হচ্ছে, ও আমাকে বুঝতে শিখছে। মেয়ে যত বড় হচ্ছে, আমারও মাতৃত্বের বয়স বাড়ছে। এখন যেমন ঘুম পেলে বলতে পারি, ‘পুটুলি প্লিজ আমাকে ঘুমোতে দে। প্রচুর কাজের চাপ।’ আগে ও বুঝতে পারত না। এখন বুঝতে পারে। আমি ওকে জোর করে বোঝাই যে, মায়ের কী পছন্দ সেটাও ওকে বুঝতে হবে। এভাবেই মাতৃত্বের যে ডিগ্রি সেটা রোজ পড়াশোনা করতে-করতে অর্জন করছি। এভাবেই মেয়েটা বড় হয়ে যাবে। তারপর অবশ্য সমস্যার ধরনগুলো বদলাবে, সেটা জানি।”

সূত্রঃ https://tv9bangla . com/entertainment/single-mother-swaralipi-talks-about-motherhood-1194954.html