‘আমার অডিশনের ফটো ডাস্টবিনে পুড়িয়ে দেওয়া হত’, অভিনয় জীবন নিয়ে মুখ খুললেন সৌনক রায়

সৌনক রায়

মনে পড়ে, ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকের ‘পলাশ’ এর কথা, বর্তমানে ওয়েব সিরিজের জগতেও অতি পরিচিত মুখ সৌনক রায়। মুখ্য চরিত্র থেকে পার্শ্বচরিত্র, এমনকি নেগেটিভ রোলেও দর্শকের নজরে এসেছেন অভিনেতা। স্টার জলসার কপালকুণ্ডলা ধারাবাহিকে নবকুমারের চরিত্রে, এছাড়াও করুণাময়ী রাসমণি, মা মঙ্গলচন্ডী, ঠাকুমার ঝুলি, খেলাঘর ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন সৌনক।

কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সৌনক। ছতবেলা থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলা ও অভিনয়ের প্রতি বেশি ঝোঁক ছিল তার। ক্লাস সিক্স থেকেই নাটক আর খেলা দিয়ে শুরু হয় তার পথচলা। এরপর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরই জীবনে শুরু হয় স্ট্রাগল পিরিয়ড। অভিনয়ের জন্য সুযোগ পেতে স্টুডিওতে ঘুরে ঘুরে নিজের ছবি জমা দিতে শুরু করেন সৌনক। সেইসময় পয়সা দিয়ে পোর্টফোলিও বানানোর ক্ষমতা ছিল না বলে বন্ধুর ক্যামেরায় তোলা ছবি নিয়েই জায়গায় জায়গায় অডিশন দিতে থাকে সৌনক।

পাশাপাশি অ্যাকাউন্টেন্সি পাশ করে সিএর পড়ার জন্য ভর্তি হন অভিনেতা। কিন্তু অভিনয়ের জন্যই সিএর পড়ার থেকে বিরতি নিয়ে থিয়েটারে মন দেন। অভিনয় জগতে পা রাখার যাত্রাপথ খুব একটা সহজ না হলেও এমন কিছু খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল যা চোখে জল এনে দিয়েছিল অভিনেতার। সম্প্রতি জোশ টকের মঞ্চে এসে নিজের স্ট্রাগল পিরিয়ডের কিছু কথা শেয়ার করলেন সৌনক।

সৌনকের কথায়, একবার একজন কাস্টিং ডিরেক্টরকে ছবি দিয়ে আসার কিছুক্ষন পর আবার সেখানে গিয়ে সে দেখে সেই ডিরেক্টর সিগারেট খাচ্ছেন এবং তার পাশে রাখা ডাস্টবিনে পুড়িয়ে দেওয়া তার ছবি পড়ে আছে। সেদিন অখান থেকে বেরিয়ে এসে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন কাজ করলে এই ইন্ডাস্ট্রিতেই করবেন। এমনকি ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজমেরও শিকার হয়েছেন একাধিকবার। লুক সেটের পরও কপালে জুটেছে শুধুই রিজেকশন। এরপরও নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রেখে আজও ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সৌনক।