ছোট বয়সে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ থেকে পাড়ার মোড়ে সবজি বেচা! ‘মা আমার জন্য প্রচুর কষ্ট করেছে, যে স্বাচ্ছন্দ্যগুলো মা পায়নি, আমি মা-কে দিতে চাই’, বললেন সোমরাজ ওরফে ঋত্বিক

ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়

ছোটপর্দার অন্যতম রিয়েলিটি শো দাদাগিরি। যেখানে সাধারণ মানুষের জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ের গল্পের পাশাপাশি ফুটে ওঠে বহু তারকাদের জীবনের অজানা কাহানী। সম্প্রতি দাদাগিরির মঞ্চে খেলতে এসেছিলেন ‘মন দিতে চাই’ ধারাবাহিকে সোমরাজের ভূমিকায় অভিনীত ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন এই গল্পের নায়িকা অরুণিমাও।

তার প্রথম ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর মাধ্যমে ঘরে ঘরে এখনও তিনি পরিচিত সাত্যকি নামেই। তবে বর্তমানে সোমরাজ-তিতির জুটিও দর্শকদের বেশ পছন্দের। এদিনের এপিসোডে নিজের স্ট্রাগলের কথা ও তার মায়ের আত্মত্যাগের গল্পই শেয়ার করলেন অভিনেতা।

ঋত্বিক জানান, ক্লাস ফোরে পড়বার সময়ই তার বাবা-মা আলাদা হয়ে যান। এরপরই ঋত্বিককে নিয়ে শুরু হয় তার মায়ের স্ট্রাগল। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ঋত্বিক বরাবর অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। থিয়েটারের নেশায় একের পর এক চাকরি করেছেন আবার ছেড়েছেন। এরপর জমানো টাকাকে সম্বল করে থিয়েটারে কাজ করতেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “লক়ডাউনে আমি পাড়ার মোড়ে সবজিও বিক্রি করেছি। তারপর আমি জি বাংলার চোখে পড়ে যাই। এবং ওঁরা আমাকে একটা সুযোগ দেয়’। মায়ের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে ঋত্বিক জানান, ‘মা যেগুলো পাননি… দেখেছি মা কোনওদিন ৬০-৭০ টাকার বেশি জুতো কেনেনি। দামী লিপস্টিক ব্যবহার করেনি। কোনও ভালো গ্রুমিং কিট ব্যবহার করেনি। যা যা মা পায়নি, সেই স্বাচ্ছন্দ্যগুলো আমি মা-কে দিতে চাই।” অভিনেতার কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে যান স্বয়ং দাদাও। সৌরভ জানান, “অবশ্যই তোমার স্বপ্নপূরণ হবে”।