‘আমি আর আমার স্ত্রী দু-জনেই সেদিন মারা যাব’, মেয়ের কথা বলতে গিয়েই অঝরে কেঁদে ফেললেন মিঠুন চক্রবর্তী

মিঠুন চক্রবর্তী

বলিউডের ডিস্কো ড্যান্সার, মিঠুন চক্রবর্তী ও স্ত্রী যোগিতার সংসার তাদের তিন ছেলেকে নিয়ে, অভাব ছিল শুধু এক কন্যা সন্তানের। অবশেষে ঈশ্বরের আশীর্বাদে তার সেই ইচ্ছাও পূরণ হয়। তবে সে তাদের নিজেদের সন্তান নয়। আস্তাকুঁড় থেকে পাওয়া মেয়ে কে দত্তক নেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মেয়েকে পেয়ে তার সংসার আজ পূর্ণ।

মিঠুন যোগিতা কন্যা হলেন দিশানি চক্রবর্তী। আজ সে অনেক বড়। রুপে গুণে বলিউডের অভিনেত্রীদের থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই দিশানি। বর্তমানে নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকে অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন দিশানি। বাবা- মায়ের খুব আদরের মেয়ে তিনি।

তবে একসময় ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে উঠল দিশানির প্রসঙ্গ, মেয়ের কথা বলতে গিয়ে চোখের জলে ভাসলেন সবার প্রিয় এমজি। এদিন শোয়ের শুরুতেই দেখা গেল বনগাঁ-র মেয়ের দিশা ও অভিনেত্রী অনিন্দিতা রায়চৌধুরীর পারফরম্যান্সের ঝলক। ‘কভি খুশি কভি গম’-এর টাইটেল ট্র্যাকে দিশার ‘কনকাঞ্জলি’র দৃশ্য তুলে ধরা হয়।

মা-মেয়ের সম্পর্কের এই বন্ধন দেখে আবেগঘন গলায় মিঠুন বলে ওঠেন- ‘মায়ের ঋণ কোনওদিন শোধ করা যায় না’। এরপরেই ডান্স বাংলা ডান্সের বিচারক শ্রাবন্তী মিঠুনের কাছে প্রশ্ন করেন, ‘এমজি তোমার সঙ্গে তোমার মেয়ের কেমন সম্পর্ক?’ তার উত্তরে তিনি বলেন- ‘সেটা যেদিন হবে সেদিন আমি আর আমার স্ত্রী দু-জনেই মারা যাব’। যা শুনে চোখে জল আসে শ্রাবন্তীরও।

অভিনেতার এই কথাতেই প্রকাশ পায় যে তাদের মেয়ে কে তারা কতটা আগলে রাখেন। অপরদিকে দিশানির রোল মডেল তাঁর বাবা নিজেই। বর্তমানে মার্কিন মুলুকে পড়াশুনা করলেও বাবার মতো ফিল্মি দুনিয়াতেই নিজের নাম লেখাতে চান মিঠুন কন্যা দিশানি।