‘হাউহাউ করে কাঁদতাম’, অতীতের স্মৃতি নিয়ে মুখ খুললেন জন্মভূমির ‘পিসিমা’ মিতা চট্টোপাধ্যায়

মিতা চট্টোপাধ্যায়

মনে পড়ে জন্মভূমি সিরিয়ালের ‘পিসিমা’ মিতা চট্টোপাধ্যায়কে? আজও তিনি সকলের প্রিয় ‘পিসিমা’। বয়স প্রায় ৯১ ছুঁই ছুঁই কিন্তু এখনো দারুণ ফিট। মাঝে দিদি নাম্বার ওয়ানে খেলতে এসেছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।

সামনেই দুর্গাপুজো। তার আগেই এই সময় ডিজিটালের কাছে ছোটবেলায় পুজোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নিলেন। তার কাছে দুর্গাপুজো ঠিক আগের মতোই স্পেশাল। এই সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জানান, ‘দুর্গাপুজো মানে একটা আলাদা অনুভূতি বরাবরই। সেইসময় পুজোয় তো এতটা জাঁকজমক ছিল না। তখন পুজোটাই ছিল মুখ্য। আনুষ্ঠানিকতা কম ছিল। বাড়ির পুজোরই তখন রমরমা ছিল। এত সর্বজনীন আঙ্গিকে পুজো হতো না। মা আসছেন এটা ভেবে আজও বড় ভালো লাগে। আমাদের পরিবারে কোনও অতিথি এলে যে আনন্দ হয়, তেমনটাই অনুভব করি।’

অভিনেত্রীর মতে, ‘তখন আমাদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হতো না। পাড়ায় হতো। যা নিয়ে আমরা বেশ কয়েকদিন ধরে মেতে থাকতাম। আজ যেটা দক্ষিণ কলকাতার ২৩ পল্লির দুর্গামন্দির, তো এত জনপ্রিয় ছিল না। শুধুই বাঁশ বেঁধে, পাড়ার বড়রা মিলে আয়োজন করত। ছোটদের জন্য নিয়ম ছিল শতরঞ্চি বিছিয়ে মেঝেতে বসতে দেওয়া হত। আমার নজর থাকত চেয়ারগুলোর দিকে। যদি একটু বসার সুযোগ পাই। বাবা-কাকার সঙ্গে যদি একটু বসে পড়তে পারি, তার মতো আনন্দ কিছুতে নেই।’

তিনি আরও জানান, ঠাকুরের ত্রিনয়নে টিপ পরানো হত তাঁর হাত দিয়েই। সকলেই বলতেন ‘তুই আমাদের ছোট মা। যিনি এসেছেন তিনি বড় মা।

তবে বিসার্জনে সময় অভিনেত্রী হাউ হাউ করে এমন ভাবে কাঁদতেন যে উপর থেকে নীচে পড়ে যেতেন, গলগল করে রক্ত বেরনোটা পালা হয়ে গিয়েছিল প্রতি বছর। সকলে তাকে বোঝাতেন পরের বছর আবার মা দুর্গা আসবেন কিন্তু ছেড়ে যাওয়াটা মানতে পারতেন না।