টিভির পর্দা দিয়ে অবশেষে বিদায় নিল মৌ-ডোডো। এই ধারাবাহিক শুরু থেকেই রুচিসম্পন্ন গল্প ছিল। আর বিদায় বেলায়ও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না। খুব সুন্দরভাবেই একটা পারিবারিক জীবনে বাস্তবের প্রতিফলন দেখিয়েই থামল ‘মেয়েবেলা’, প্রশংসা দর্শক।
মৌ-ডোডোকে দর্শক মিস করবেন ঠিকিই, কিন্তু দর্শকদের একটা আলদা গল্প উপহার দিয়ে গেল এই ধারাবাহিক। অন্য ধারাবাহিকে দেখা যায়, শেষ যাত্রায় ভিলেনও ভালো হতে যায় এবং পরিবারের সকলের হাসি-খুশিতে শেষ হয় ধারাবাহিক। কিন্তু মেয়েবেলায় সেই চিত্র ফুটে উঠল না বরং বাস্তব দিকটাই তুলে ধরা হল।
সমাজে এরকম অনেক পরিবার আছে, শুরু থেকে একসঙ্গে থাকলেও পরবর্তীকালে যে যার জীবন সংসার নিয়ে আলাদা হয়ে যায়। কেউ দূরে থেকে সম্পর্ক রাখে আবার কেউ কাছে থেকে। মেয়বেলার শেষ বেলায় যেন দর্শকদের সেটাই বুঝিয়ে গেল।
ধারাবাহিকের শেষে মিত্র বাড়ি ফাঁকা। পরিবারের কেউ নিজের বাড়ি করে আলদা সংসার গড়েছেন, কেউ বা বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। কারো বিয়ে ভেঙেছে, সন্তানকে নিয়ে আলদা থাকেন। সাধারণ একটা একান্নবর্তী পরিবারের এরকম দৃশ্য দেখা যায়। বলাই বাহুল্য, বাংলা ধারাবাহিকে শেষবেলায় এরকম দৃশ্য খুব কম। তাই একাংশ দর্শকের মতে মেয়েবেলা অনন্য।