টানা বেশ কয়েক মাস ধরে বেঙ্গল টপারের আসন দখল করে রয়েছে জি-বাংলার ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিক। একের পর এক টুইস্ট দেখিয়ে দর্শকের জন্য প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন চমক নিয়ে আসছে এই ধারাবাহিক। সেইসাথে বুদ্ধির জোরে একটার পর একটা কেস সল্ভ করে চলেছে ধারাবাহিকের নায়িকা অঙ্কিতা মল্লিক ওরফে জ্যাস সান্যাল।
ধারাবাহিকের বর্তমান গল্প অনুযায়ী, সব তদন্ত করে অবশেষে উৎসব এবং বৈদেহির খেলা শেষ করেছে জ্যাস। উৎসবকে তার প্রাপ্য শাস্তি দিতে পেরেছে সে। অবশেষে উৎসব জেলে বন্দী।
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাবে, জগদ্ধাত্রী কাজে ব্যস্ত থাকাকালীন তার কাছে এসে উৎসবকে নিয়ে নানা কথা বলে বৈদেহি মুখার্জী। আর সেই প্রসঙ্গে জ্যাস জানায়, সে তার পরিচয় গোপন রেখে কোন অন্যায় করেনি। কিন্তু উৎসব যা করেছে সেই অন্যায়ের কোন ক্ষমা হয়না। এমনকি উৎসব যাতে জেল থেকে বেরোতে না পারে তার জন্য আদালতের কাছে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশ করবে সে। যা শুনে রীতিমত ভয় পেয়ে যায় বৈদেহি।
অন্যদিকে, মেহেন্দি বলে এবারের মত উৎসবকে যেন ক্ষমা করে দেওয়া হয়। কিন্তু নিজের জায়গায় অনড় জ্যাস। মেহেন্দিকে সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, উপল মৈত্রের মতন একজন অসুস্থ মানুষকেও ছাড়েনি উৎসব। তাই শাস্তি তাকে পেতেই হবে। উল্টে মেহেন্দি জ্যাসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলে, উৎসবকে সে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনবেই।
ঠিক সেই মুহূর্তেই জগদ্ধাত্রীর কাছে হর্ষবর্ধন বাবুর ফোন আসে। তারপরেই কেসের ফাইল খুলতেই অনিন্দিতা আর তার মেয়ে অস্মিতার খোঁজ পেয়ে যায় জ্যাস। ফোনে কথা না বলায় তাদের বাড়িতে গিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সে। সেই প্রসঙ্গে অনিন্দিতা বলে, আজ তার ছেলে হারিয়েছে বলে এত তদন্ত কিন্তু এটা যদি সাধারণ মানুষের সাথে হত তাহলে কি এত তদন্ত হত। নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করায় ভীষণ রেগে যায় জ্যাস।
অবশেষে জ্যাস কিভাবে এই কেসের মীমাংসা করে অপরাধীদের শাস্তি দিতে পারে সেটাই দেখার অপেক্ষায় দর্শকমহল।
View this post on Instagram