সারেগমাপা খ্যাত দুই শিল্পী অঙ্কিতা ভট্টাচার্য এবং ময়ূরী দারানির মধ্যে বিতর্ক নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। সম্প্রতি কোচবিহারে পারফর্ম করতে গিয়ে কটাক্ষের মুখে অঙ্কিতা ভট্টাচার্য। যার উচিত জবাব দিতে ছারলেন না ময়ূরী।
মঞ্চে গান গাইতে উঠে জুবিনের গান গাওয়ার আবদারে অঙ্কিতার মন্তব্য, ‘আমাকে কেউ জুবিনদার গান রিকুয়েস্ট করবেন না। আমি না ওঁনার গান গাইতে পারব না। কারণ আমি কারুর মৃত্য়ু নিয়ে ফুটেজ খেতে পারব না।’
অঙ্কিতার মন্তব্যে নাম না নিয়েই অঙ্কিতাকে বিঁধলেন ময়ূরী। ক্ষোভ প্রকাশ করেই ময়ূরী জানান, ‘জুবিন স্যারের গান গেয়ে আমি ফুটেজ খেতে পারব না। এই লাইন টা আমাদের শিল্প জগতে ধ্বংসাত্মক! আমি নাম নেব না তবে সবাই আশা করছি জানো বিষয় টা! আমার বক্তব্য একটাই,একচোখামি টা ’জুবিন’ দার জন্য কেনো?
সারা ভারতবর্ষের মানুষ দাদা কে এতটাই ভালোবাসে যে তার গান মুখে মুখে,এবং আমরা যারা পারফর্ম করি তারাঁ রিকুয়েস্ট করলে আমরা খুশি হয়ে গাই ,না পারলেও আমরা চেষ্টা করছি কিন্তু না বলে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই।সেখানে দাঁড়িয়ে এই মানুষটি এত জনপ্রিয় একজন শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও কীকরে কথাটা বলতে পারল’।
ময়ূরী লেখেন,’আমি তার গান পার্সোনালি পছন্দ করি, কিন্তু আমি তার এই রূপ টা দেখে খুবই হতাশ হলাম। আমার কথা একটাই আমরা যারা জুবিনদাকে হারিয়ে ফেললাম,যারা ভালোবেসে জুবিন দার গান গেয়ে ট্রিবিউট (শ্রদ্ধার্ঘ্য) দিচ্ছি,তারা সবাই কি ফুটেজ খাচ্ছি??..তাঁর মতো, নির্দয়ের মত কথা আমাদের বলার সাহস হয়েছে????..কী করে বলতে পারছো?’
ময়ূরী আরও লেখেন, ‘ভাই আমি এত বড় শিল্পী হয়ে উঠতে পারিনি যে এত বড় কথা টা বলব! কারো সাহস হয়নি! হ্যাঁ অবশ্যই আরো অনেকে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তাঁদের দেওয়া গান গুলো ও আমরা গাই,একই ভাবে শোকাহত। তাঁর মনে এই না যে আমরা জুবিন দার গান গেয়ে ফুটেজ খাচ্ছি।’
‘তুমি মাথায় রেখো একজন দুজনকে বলোনি কথাটা, আমি একজন ছোট শিল্পী (বয়সে নয় কর্মদক্ষতায়), আমার চেয়েও অনেক বড় বড়মাপের আর্টিস্ট আছেন তাদের তুমি অপমান করেছো পরোক্ষভাবে। যতটা রেসপেক্ট ছিল সব চলে গেলো মানুষটার ওপর থেকে!!’
সবশেষে ময়ূরী জানিয়েছেন, ‘আমরা জুবিন দার ভক্ত ছিলাম আছি থাকবো কারো জন্য ভাই মনে লাগাতে পারবনা যে ’ফুটেজ’ খাচ্ছি আমরা! আমরা জুবিন দার গান গাইবো গাইবো গাইবো’।

