বাংলা চলচ্চিত্রের রত্ন অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়। শৈশব থেকেই অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। কেরিয়ারের শুরুতে থিয়েটার করতেন। এরপর বাংলা জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিচালক সত্যজিৎ রায় মনু মুখোপাধ্যায়কে ডেকে ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’এ ‘মছলিবাবা’র চরিত্রে সুযোগ করে দেন।
আরও পড়ুন >> সময় নিয়ে উক্তি
মিনার্ভায় থিয়েটার করার সময় ফোন করে ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবির সহযোগী পরিচালক তাকে জানিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায় তার সাথে দেখা করতে চান। অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায় সেই মতোই বিশপ লেফ্রয় রোডের বাড়িতে পরিচালকের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তারপর দেড়ঘন্টা ধরে মেকআপ আর্টিস্ট তার মেকআপ করেছিলেন। সেই সময় রুমে উপস্থিত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায় সৌমিত্র বাবুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “মনুকে ঠিক লাগছে তো? এককথায় হ্যাঁ বলেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই মছলিবাবার চরিত্রে মনু মুখোপাধ্যায়কে কাস্ট করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। শোনা যায়, তার শট এক টেকেই ওকে হয়েছিল। শট শেষেই সত্যজিৎ রায় নিজের গায়ের চাদর জড়িয়ে দিয়েছিলেন মনু মুখোপাধ্যায়ের গায়ে।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘উত্তরায়ণ’, ‘শেষ থেকে শুরু’, ‘নায়িকার ভূমিকায়’, ‘মর্জিনা আবদুল্লাহ’, ‘সোনার খাঁচা’-সহ বিভিন্ন ছবির অংশ হয়ে ওঠেন। এমনকি বাংলা নাটকের মঞ্চেও প্রাণসঞ্চার করেছে তাঁর অভিনয়।
অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায় ছিলেন সেই গোত্রের চরিত্রাভিনেতা যারা পর্দায় থাকলে মুখ্য চরিত্র ছাপিয়ে নজর চলে যেত তাদের দিকেই। পরিচালকদের কাছে খুব প্রিয় ছিলেন তিনি। পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সাথে সমানতালে অভিনয় করে গেছেন। বিগত কয়েক বছর বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে বাজিমাত করেছে ‘হলুদ পাখির ডানা’, ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’, ‘গয়নার বাক্স’, ‘আলিগরের গোলকধাঁধাঁ’ ছবিতে তার অভিনয়।
পাশাপাশি ছোট পর্দায় ‘বয়েই গেল’ এবং ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ রেখে গিয়েছেন তার অমূল্য সম্পদ। তবে টলিউডে বহু প্রতিভা তাদের যথাযথ কদর ও সম্মান পায়নি। তার মধ্যে একজন ছিলেন অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়। সেই আক্ষেপ বুকে নিয়েই গতবছর ডিসেম্বর মাসে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন এই কিংবদন্তি। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৯০।
সূত্রঃ bartamankolkata . com/entertainment-news/tollywood/ray-himself-loved-him-but-tollywood-did-not-give-respect-manu-mukherjee-left-with-regret-4867/
মনু মুখার্জিকে নিয়ে আলোচনায় পাতালঘর সিনেমার গোবিন্দ বিশ্বাসের নামোল্লেখ পর্যন্ত হলো না যে লেখায়, তা পড়া উচিত নয়। গোটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে ঐ একটা রোলের জন্য উনি অমর হয়ে থেকে যাবেন, যেটা এখানে উল্লিখিত হলোই না।
Gdluck for u….continue nd explore ur passion