মাস তিনেক আগেই অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্তর জীবনে শুরু হয়েছে নতুন অধ্যায়। আট বছরের কন্যা আদ্রিয়ার পর পুত্র অধ্যায়ের জন্ম। মানসী যদিও ভালোবেসে ছেলে কে গোল্লা বলেই ডাকেন অন্যদিকে মেয়েকে ডাকেন তুহু।
দুই সন্তানের মধ্যে প্রায় আট বছরের পার্থক্য। সেক্ষেত্রে সময়ের সাথে সাথে কিছুটা হলেও বদলেছে মানসিকতা। তাই ছেলেমেয়ের পদবির ক্ষেত্রে নতুন চিন্তাভাবনা মানসীর।
এই প্রসঙ্গে মানসী বললেন, ‘যখন মেয়ে হয় তখন আমারও বয়স খুব কম। তাই এত কিছু ভাবনাচিন্তা করিনি। কিন্তু একটা সময় এসে আমার মনে হয়েছিল, আমার পদবিটাই বা কেন হারিয়ে যাবে? কারও মধ্যে আমিও বেঁচে থাকতে চাই। তাই মেয়ে বাবার পদবি ব্যবহার করে ঘোষ আর ছেলে আমার পদবি সেনগুপ্ত।’
ছেলে এবং মেয়ে দু’জনের ক্ষেত্রেই অভিনেত্রীর একটাই মত। সেক্ষেত্রে মানসী বলেন, ‘আমার এখনও মনে হয় এই সমাজে মেয়ে মানুষ করার থেকে ছেলে মানুষ করার দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ, আমি শুধু আমার ছেলেকে মানুষ করছি না। কারও বাবা, কারও স্বামী, কারও বন্ধুকেও তৈরি করছি। তাই বীজটা গোড়া থেকেই বপন করতে হয়। কারণ, বড় হওয়ার পর সেটা আর সম্ভব নয়।’
সন্তানের ক্ষেত্রে কোন কিছুই চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতি নন মানসী। বললেন, ছেলেমেয়ে বড় হয়ে যে পেশাই বেছে নিক কোন আপত্তি নেই তার। ‘ওরা ওদের মতো করে স্বাধীন ভাবে বড় হোক এটাই চাই। তবে ছেলেটা যদি ক্রিকেটার হয়, একটু ভালো লাগবে। আমার চাওয়াতে যদিও কিছুই হবে না, সিদ্ধান্ত একেবারেই ওদের।’