‘শাঁখা পলা এমন আভূষণ যা চাইলেই…দেখতে গাঁইয়া লাগে’, বিবাহিত মহিলাদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যে ফের কটাক্ষের মুখে মধুবনী

মধুবনী গোস্বামী

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী। মাঝেমধ্যেই বেফাঁস মন্তব্যের জেরে কতাক্ষের মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। এর আগেও চাকুরিজিবি মায়েদের নিয়ে মন্তব্য করায় ট্রোলের শিকার হতে হয়েছিল তাকে। এবার বিবাহিত মহিলাদের শাঁখা-পলা পরার চল নিয়ে মন্তব্য করায় ফের কটাক্ষের মুখে মধুবনী।

সম্প্রতি মধুবনী তার শাঁখা-পলা পরা একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘মোটা মোটা শাঁখা পলা পরার চল আমি নিয়ে এসেছি, বললেই চলে। ২০১৬-য় যখন বিয়ে হয়, তখন মোটা শাঁখা পরেই বিয়ে করেছিলাম। তারপর দেখেছিলাম, অনেকেই মোটা শাঁখা পরছেন। দেখে খুব ভালো লেগেছিলো।’

‘সে যাক, শাঁখা পলা পরাই যেখানে উঠে গিয়েছিল, সেখানে ‘স্টাইল’ করার জন্য হলেও, লোকে তো পরছেন এটাই অনেক। এরপর অনেক পরে যখন মোটা শাঁখার সঙ্গে মোটা পলাও পরা শুরু করলাম, তখন লোকে সেটাও ফলো করলো। আমি সব রকম আউটফিটের সঙ্গেই শাঁখা পলা পরি, আমার এখনকার এই সোনালি চুলের সঙ্গেও পরছি!’

মধুবনী আরও লেখেন, ‘অনেকে আমায় জিজ্ঞেস করেন, আমি কেন শাঁখা পলা পরি? আমি পরি আমার স্বামীর মঙ্গল কামনায়। স্বামীর শারীরিক এবং মানসিক সুস্বাস্থ্যের কামনায়। এটা আমার বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই আমি পরি। আর একটা কথা। আমি মনে করি, শাঁখা পলা, সিঁদুর এগুলো এমন আভূষণ, যা চাইলেই পরা যায় না। এর জন্য, অবশ্যই প্রাথমিক ভাবে বিয়ে হওয়াটা প্রয়োজন। স্বামীর দেহ থাকাটাও অত্যাবশ্যক।’

‘যারা প্রফেশনের কারণে পরতে পারেন না, তাদেরটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু ‘এমনি পরি না’, বা ‘দেখতে গাঁইয়া লাগে’ ভেবে যাঁরা পরেন না, তাঁদের অন্তত এটুকু মাথায় রাখা উচিত, যে এমন অনেকে আছেন, যাঁরা এগুলো পরার সুযোগই পান না। পুনশ্চ- আমি কাউকে আমার কথা মেনে চলতে বলছিনা। আমি তেমনটা আশাও করি না। আমি শুধু আমার দিকটা সবার সঙ্গে শেয়ার করলাম।’

মধুবনী’র পোস্টের পরই তার দিকে আসতে থাকে নানা নেগেটিভ মন্তব্য। একজন নেটিজেন লেখেন, ‘তা আপনার বিশ্বাস, ইচ্ছা শেয়ার করছেন খুব ভালো কথা। কিন্তু অন্যের ইচ্ছাকেও সম্মান করতে শিখুন। কারোর ইচ্ছা নাই হতে পারে শাখা পলা পরার, আপনি জাজ করার কেউ না!’

অন্যজন লেখেন, ‘আপনি আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এত শাস্ত্র এত আধুনিক বুলি আওড়ে এই ধরনের মন্তব্য করেন কী করে।’