‘গীতিকারদের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হয় না’! প্রতিবাদ জানালেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী

 লগ্নজিতা চক্রবর্তী

গানের কন্ঠ ও সঠিক পরিচালনা হলেই গান হিট, এমন চিন্তাভাবনা অনেকেই করেন। আর গানের পিছনে থাকা লিরিসিস্টদের অর্থাৎ যারা গানটা লেখেন তাদের কদর নেই বললেই চলে। গানের মিউজিক ডিরেক্টর বা সঙ্গীত শিল্পীরা পরিচিতি পেলেও লিরিসিস্টরা আড়ালেই থেকে যান। এমনকি অনেক অ্যাওয়ার্ড শোতেই লিরিসিস্ট জন্য আলাদা কোনও বিভাগ থাকে না।

সম্প্রতি লিরিসিস্টদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। বসন্ত এসে গেছে গায়িকা এদিন পোস্টে প্রশ্ন তোলেন, ‘বেলা বোস কী লিরিক্স ছাড়া? নীলাঞ্জনা কী লিরিক্স ছাড়া? তোমাকে চাই কী লিরিক্স ছাড়া?’ কাউকে দোষারোপ করছি না। কিন্তু এটা ভাবার বিষয়। আমরা যদি গীতিকারদের নিয়ে না ভাবি ওরা আর গান লিখবে না। আর ওরা না লিখলে আমরা গাইতে পারব না। তাই অনুরোধ করছি যাঁরা গান লেখেন তাঁদের সম্মান করি একটু আমরা প্লিজ?’

পোস্ট শেয়ার করে লগ্নজিতা আরও লেখেন,’কিছুদিন আগে সুব্রত বারিশওয়ালা লিরিসিস্টদের নিয়ে একটি পোস্ট করেছিল, যেটা সৃজিত মুখোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে শেয়ার করেছিলেন। আমি গীতিকার নই, কোনও দিন হতেও পারব না। ঈশ্বর আমায় সেই ক্ষমতা দেয়নি। তাও দুটো কথা না বলে পারছি না।’

‘গত ছয় মাসে একটি অ্যাওয়ার্ড শোতে গেছিলাম, সেখানে গিয়ে জানলাম ওঁদের লিরিসিস্ট বিভাগটাই নেই। মানে মনোনয়ন, ইত্যাদি না। ক্যাটাগরিটাই নেই। কাজেই মনোনয়নের প্রশ্নই আসছে না। কী অদ্ভুত!

‘আমরা সবাই জানি গত বছরের দুটো হিট ডাকাতিয়া বাঁশি এবং কিশোরী। ডাকাতিয়া বাঁশি নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারব না কারণ আমি ক্রেডিট লিস্ট জানলেও মনোনয়ন লিস্ট অত খুঁটিয়ে দেখিনি। কিন্তু কিশোরী গানের যিনি গীতিকার তিনি শেষ কোনও অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে কোনও মনোনয়ন পাননি। পুরস্কার পেল কিন পরের কথা। নমিনেশনটুকু পায়নি। আমরা তাহলে ধরে নিচ্ছি একটি সুপারহিট গানের জন্য শুধু কণ্ঠ আর পরিচালনাটাই জরুরি। একটা সুপারহিট গানে লিরিক্স কোনও অংশ না।’