কুমার শানু, যার প্রেমের গানে মন দিয়েছেন গোটা একটা প্রজন্ম। তেমনই বাস্তবেও বারবার প্রেমে পড়েছেন সঙ্গীতশিল্পী। ১৯৮৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে রীতা ভট্টাচার্যর সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন কুমার শানু। কিন্তু দুজনের দাম্পত্য সুখের হয়নি। দীর্ঘদিনের তিক্ত সম্পর্কের পরিণতি ছিল ডিভোর্স।
অন্যদিকে কুনিকা সদানন্দ কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, কুমার শানুর সঙ্গে তিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গায়কের প্রাক্তন স্ত্রী রীতা অভিযোগ করেন, তৃতীয় বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেই নানা অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে তাকে। শানু ও রীতার তৃতীয় সন্তান জান কুমার শানু।
রীতা ভট্টাচার্যের দাবি, ‘আশিকি’ ছবির পরে বিপুল সাফল্য আসে শানুর জীবনে। ছবির গানগুলি সফল হওয়ার পরে পারিশ্রমিকও বেড়ে যায় অনেকটা। তখন নাকি শানুর আচরণও বদলে গিয়েছিল।
রীতা বলেন, “আমি যখন অন্তঃসত্ত্বা, তখন ওর একটা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও ছিল। সেটা এতদিনে প্রকাশ্যে এসেছে। অথচ, আমাকে সেই সময়ে আদালতে নিয়ে গিয়েছিল। তখন আমার খুব অল্প বয়স। মনে হয়েছিল, আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। আমার পরিবারও চমকে গিয়েছিল। তবে এক বছর আগে ও একটা পার্টিতে বলেছিল, ওর সাফল্যের নেপথ্যে নাকি আমার অবদান রয়েছে।”
শানুর প্রাক্তন স্ত্রীর দাবি, বিয়ের পর থেকেই তাকে বাড়ির বাইরে কোথাও বেরোতে দেওয়া হতো না, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কিংবা সাজগোজ করার অনুমতি ছিল না। এমনকী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাকে খেতেও দেওয়া হতো না বলে দাবি জানিয়েছেন রীতা।
রীতা জানান, গায়কের বোন তাঁর নিজের স্বামী-সন্তান ছেড়ে দাদার সংসারে পড়ে থাকত। শুধু তাই নয়, কুমার শানুর সাথে একই ঘরে ঘুমাত তার বোন, অন্যদিকে বাচ্চাদের সাথে অন্য ঘরে ঘুমাতেন রীতা। ভাইবোন দুজনেই নির্যাতন করেছিল তার উপর।
রীতা বলেন, “ওরা যখন বাইরে বেরোত, রান্নাঘরে তালা দিয়ে দিত। তখন আমি ভাত খাওয়ার জন্য বৌদির কাছে যেতাম। আমি নিজেই একটু চাল কিনে রেখেছিলাম। বৌদির রান্নাঘরে গিয়ে রেঁধে নিতাম। তার পরে খেতে পারতাম। শুধু তাই নয়, আমার বাচ্চাদের জন্য দুধও কিনে দিত না ওরা। ওদের মানুষ বলে পরিচয় দেওয়া যায় না।”
কুনিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর, বর্তমানে শালোনিকে বিয়ে করেন গায়ক। তাঁর সঙ্গেই এখন সুখী সংসার শিল্পীর। শালোনি ও শানুর দুই কন্যা সন্তানও রয়েছে।