‘নকল শাড়ি’ বিক্রি করছেন কেয়া শেঠ, দাবি ঋতাভরীর মায়ের! শতরূপা সান্যালকে পাল্টা উত্তর কেয়া’র

শতরূপা সান্যাল

বহুদিন ধরেই নিজস্ব ব্র্যান্ডের প্রসাধনী দ্রব্যের পাশাপাশি এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের শাড়ি ও গয়নাও বিক্রি করেন কেয়া শেঠ। তার প্রতিষ্ঠানের নাম কেয়া শেঠস এক্সক্লুসিভ। এবার কেয়া শেঠস এক্সক্লুসিভের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। যার মূলে রয়েছে একটি শাড়ি।

সম্প্রতি ঋতাভরী চক্রবর্তীর মা, ওরফে পরিচালক শতরূপা সান্যাল কেয়া শেঠের অনলাইন পোশাক বিপণি থেকে প্রায় ৪,৮৯৯ টাকা দিয়ে একটি বোমকাই শাড়ি কিনেছিলেন। শাড়িটি আসতেই শতরূপার মনে হয়, যে শাড়িটি আদতে আসল নয়, এমনকি শাড়িটির যে দাম নেওয়া হয়েছে ততটা দামি নয় এই শাড়ি।

এরপরই শাড়িটি ফেরত দেওয়ার কথা বলেন শতরূপা, তবে ‘কেয়া শেঠ এক্সক্লুসিভ’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, শাড়িটি ফেরৎ দেওয়ার কোনও পলিসি নেই। তবে কি নকল শাড়ি কিনে ঠকে গেলেন শতরূপা?

এমনকি নকল শাড়ি দেওয়ার অভিযগে কেয়া শেঠের বিরুদ্ধে ফেসবুকের পাতায় একটি লম্বা পোস্ট করে শতরূপা লেখেন, নানা কারণে মন ভালো নেই। শরীরটাও যেন বিদ্রোহ করছে। এর মধ্যে কেউ যখন বোকা বানিয়ে, ডাহা ঠকিয়ে যায়, তখন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে পড়ে।
এমনিতে আমি সারা বছরই যথেষ্ট অনলাইন কেনাকাটা করি। বিশেষতঃ আজকাল যেভাবে মেয়েরা শাড়ি জামা বা পোষাক গয়না ইত্যাদির অনলাইন ব্যবসা করছেন, আমি শুধু তারিফই করিনা, কিনিও। তাদের প্রতি আমি খুবই আন্তরিক।দু একবার যে ঠকিনি, তা নয়। খুব অল্প টাকার ক্ষতি হয়েছে, যা ধর্তব্যের নয়। এখন তাই যাদের চিনে গেছি, তাদের থেকেই কিনি।

কিছু নামী দামী কোম্পানির জিনিষও কিনেছি যথেষ্ট। পছন্দ না হলে ফেরতও দিয়েছি। ইন্ডিয়ান সিল্ক হাউস, বানারসী, মিন্ত্রা, আজিও, আমাজন ইত্যাদি, কারো ক্ষেত্রেই কোন অসুবিধে হয়নি। তারা তাদের সুনাম রেখেছেন এখন অবধি! তাদের ব্যবহারও ভদ্রলোকের মত।

অসুবিধে হল “কেয়া শেঠ এক্সক্লুসিভ “ নামক বিক্রেতাদের সঙ্গে। তসর বোমকাই বলে একটি নকল মাল চালিয়ে দিলেন তাঁরা, ডিসকাউন্টে প্রায় পাঁচহাজার টাকা দাম নিয়ে। এটার দাম হয়তো ১০০০/- টাকাও হবেনা। সুতরাং, কাস্টমার কেয়ারে তৎক্ষণাৎ জানালাম, এটা নকল, ফেরত দিতে চাই। তারা মেইলে ও ফোনে জানালো- ফেরৎ হয়না! বদলও হয়না!! অথচ তাদের কিন্তু রিটার্ণ পলিসি আছে বলে জানানো ছিল।
অতএব,আমার পুরো টাকাটাই জলে!

অবশ্য, আমারও দোষ আছে বৈকী! বহু বিজ্ঞাপিত ব্র্যান্ডকে একটুও না সন্দেহ করে জিনিস কেনা এবং এত বেশি ডিসকাউন্টের ব্যাপারটায় বিশ্বাস করা! নইলে, ঐ টাকায় নকল বোমকাই-ই তো মিলবে। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে যে, সেটা কিন্তু বিক্রেতার আগেই জানিয়ে রাখার কথা।
পুজোর সময় কম বেশি কেনাকাটি সকলেই করবে, জানা কথা। আমি শুধু তোমাদের সতর্ক করে দিলাম, এই ধরনের বিক্রেতাদের সম্পর্কে। তোমরা অন্যদেরও সতর্ক করে দিও।

শতরুপার পোস্টে মেয়ে চিত্রাঙ্গদা বলেন, ‘ট্যাগ করো ওদেরকে’। তবে কেয়া শেঠের তরফ থেকেও আসে তার পাল্টা জবাব, কেয়া শেঠ জানান, সাইটেই শাড়ির বিবরণীতে লেখা ছিল এটি ‘আসল নয়’। তাই সেটা না দেখে, শাড়ি অর্ডার করা শতরূপারই ভুল ছিল।

কেয়া শেঠ একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে আরও জানান, তার ব্র্যান্ডের অনলাইন পোশাক বিপণিতে রিটার্নের কোনও অপশন নেই, যদি না শাড়ি ছেড়াফাঁটা বেরোয়। তড়িঘড়ি মন্তব্য না করে, যে কোনও ঘটনাকে আগে যাচাই করে নেওয়া দরকার এমনটাই বলেন কেয়া শেঠ।

শতরুপা কন্যা চিত্রাঙ্গদাকেও খোঁচা মেরে কেয়া শেঠের মন্তব্য মাকে ট্যাগ করা শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি যেন শাড়ির সমস্ত বিবরণী কী ভাবে দেখতে হয়, তাও যেন ভাল করে বুঝিয়ে দেন।