স্টার জলসার অন্যতম এক সেরা ধারাবাহিক ছিল ‘খড়কুটো’। হাসি মজার গল্পে ভরপুর এই ধারাবাহিক আট থেকে আশি, প্রতিটি বাঙালি দর্শকের মন জিতে নিয়েছিল। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বং বিউটি তৃণা সাহা ও ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা কৌশিক রায়। গল্পের মূল আকর্ষণ- ‘গুনগুন-সৌজন্য’ এর দুষ্টু-মিষ্টি, খুনসুটি ভরা দাম্পত্য জীবন অচিরেই জায়গা করে নেয় ভক্তদের মনে।
ধারাবাহিকে সহজ-সরল কিন্তু চঞ্চল ও প্রাণোচ্ছল মজার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন গুনগুন ওরফে তৃণা। অপরদিকে রাগী, গম্ভীর, আর বেশ খানিকটা সিরিয়াস চরিত্রই ছিল সৌজন্য ওরফে কৌশিকের। পর্দায় রাগী গম্ভীর স্বভাবের সৌজন্য বাস্তব জীবনে কেমন?
বাংলা টেলিভিশনের একজন দাপুটে অভিনেতা হলেন অভিনেতা কৌশিক রায়। তার অনবদ্য অভিনয় দর্শকদের মন ছুয়ে যায়। পজেটিভ হোক বা নেগেটিভ, সব চরিত্রেই অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করে থাকেন তিনি। তাই তো নিজের ক্যারিয়ার খলনায়ক হিসাবে শুরু করলেও আজ পর্দার হিরো হয়েই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
‘বোঝে না সে বোঝে’ ধারাবাহিকে খলনায়ক ‘কৃষ্ণেন্দু’ চরিত্রে হাত ধরেই ছোটপর্দায় পা রেখেছিলেন অভিনেতা। এরপর ছোটপর্দায় ‘পুন্যি পুকুর’, ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’, ‘ফাগুন বউ’, ‘কুসুম দোলা’র মতো বেশ কিছু জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। এখানেই শেষ নয়, বড়পর্দায় ‘একলা চলো’, ‘গয়নার বাক্স’, ‘প্রলয়’, ‘ফ্লাইওভার’এরমত বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি।
তবে জানেন কি? টেলি পর্দার অত্যন্ত দক্ষ এই অভিনেতার ইচ্ছে ছিল তিনি বড় হয়ে ফুটবলার হবেন। প্রথম জীবনে তিনি সেলসম্যান হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। চাকরি করতে করতে হঠাৎ করেই টলিউডে আগমণ হয়েছিল তার। অভিনয় জগত থেকে এতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন, তা কখনও কল্পনাও করতে পারেননি অভিনেতা নিজেও।
ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেতা কৌশিক রায় বলতে গেলে একজন ‘ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড পারসন’। কাজের বাইরে বাড়তি সময়ে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে কিংবা ঘুরে না বেড়িয়ে পরিবারকে সময় দেওয়াটাই বেশি পছন্দ করেন তিনি। পর্দায় সৌজন্য চরিত্রের মতই তিনি কাজের প্রতি ভীষণরকম সিরিয়াস এবং কমিটমেন্টে বিশ্বাসী। সৌজন্য চরিত্রটির সাথে বেশ মিল রয়েছে তার। অভিনেতা নিজেও স্বীকার করেছেন সেই কথা। সেইজন্য সৌজন্য চরিত্রটি তার অত্যন্ত পছন্দের একটি চরিত্র।