অভিনেতা কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম স্ত্রী মনোবীণা মিত্র। ভালোবেসেই একে ওপরের হাত ধরেছিলেন তারা। এ কথা সকলের জানা। মনোবীণার মানসিক ভারসাম্য হারানোর উদ্দেশ্যে কৌশিক জানিয়েছিলেন, মনোবীণার পরিবারে নাকি এর আগেও মানসিক রোগের ইতিহাস রয়েছে।
যা শুনে কিছু দর্শকের মত, মনোবীণা আগে সুস্থই ছিলেন। উল্টে কৌশিকের বিরুদ্ধে ধেয়ে আসে নানান কটাক্ষ। কৌশিকের চরিত্র নিয়েও কু-মন্তব্য করে একজন লেখেন, “কৌশিক মানুষ কেমন অনেকেরই জানা। উনি একজন লম্পট।” অন্য একজন লেখেন, “ আগে উনি সুস্থই ছিলেন।”
তবে নেটিজেনদের কটাক্ষের জবাব দিতেও পিছপা হলেন অভিনেতা কৌশিক। বর্তমানে মনোবীণা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মানসিক রোগীদের আবাসনে আছেন। মনোবীণার চিকিৎসার সব খরচই বহন করছেন অভিনেতা।
কৌশিক পাল্টা জবাবে বলেন, “কারও কাছে কিছু প্রমাণ করা নেই আমার। একা হাতে ছেলেকে বড় করেছি। ছেলে আমার এবং আমার বর্তমান স্ত্রীয়ের সুস্থ ভাবে বাঁচার অধিকার আছে। আমি খারাপ মানুষ, তাই তো এখনও প্রথম স্ত্রীয়ের যাবতীয় খরচ বহন করছি। আমার অবর্তমানেও তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না। এই রকম খারাপ মানুষ হয়েই বার বার জন্মাতে চাই।”
সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মনোবীণার ভাই সৈকত মিত্রও। সৈকত মিত্র বলেন, “আমাদের পরিবারে মানসিক সমস্যার তেমন কোনও ইতিহাস নেই। হ্যাঁ, দাদার মধ্যে হঠাৎ এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সে সব জেনেই কৌশিকদা দিদিকে বিয়ে করেছিলেন। ওঁদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের ভালবাসা ছিল। নিয়মিত চিকিৎসায় দিদি এখন ভালো আছে।”