ইন্ডাস্ট্রিতে বহু পরিচিত অভিনেতাদের মধ্যে একজন হলেন কৌশিক ব্যানার্জি। বড়পর্দার পাশাপাশি অভিনেতাকে বাংলা ধারাবাহিকেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। অভিনয় জীবনে একজন সফল অভিনেতা হলেও ব্যক্তিগত জীবনে অনেক না পাওয়া, অনেক কিছু হারিয়েছেন কৌশিক বাবু।
কৌশিক ব্যানার্জির প্রথম স্ত্রী ছিলেন গায়ক শ্যামল মিত্র’র মেয়ে মনোবীণা মিত্র। তাদের এক ছেলেও আছে। বিয়ের ১২ বছর পর হঠাৎই বিচ্ছেদ হয় কৌশিক-মনোবীণার। জানা যায় অভিনেতার প্রথম স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।
যার জন্য তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীদের সাথে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেইসময় ছেলেকে নিয়ে একাই থাকতেন অভিনেতা। তার কয়েকবছর পর অভিনেত্রী লাবনী সরকারের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয় কৌশিকের।
প্রথম স্ত্রীয়ের সঙ্গে ডিভোর্সের পর অভিনেতাকে অনেক খারাপ কথা শুনতে হয়েছে একসময়। সম্প্রতি সিটি সিনেমাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসে অভিনেতা জানিয়েছেন,
‘আমার কাছে সেই সময় কোন আর উপায় ছিল না। আমার প্রথম স্ত্রীর অবস্থা এতটাই অবনতির দিকে চলে যাচ্ছিল যে তখন আলাদা না হলে আমি আমার ছেলেকে মানুষ করতে পারতাম না। আর তখন আমার ছেলেকে মানুষ করাই ছিল মূল লক্ষ্য। তাছাড়া আমি ভয় পেতাম যদিও নিজের কোন ক্ষতি করে ফেলতে তাহলে আমার ছেলেটার কি হবে। দীর্ঘ ১০ বছর আমি এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি এবং তারপরে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কৌশিক আরও বলেন, ‘ছেলের জীবনটা মানুষ করার জন্য যদি আমাকে স্বার্থপর বলা হয় তাহলে আমি স্বার্থপর, আর যুগে যুগে আমি এরকম স্বার্থপর হয়েই জন্মাতে চাই। আমি আমার ছেলেকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম তাই ডিভোর্সের পরেও ওর যা যা প্রয়োজনই আমি সবকিছু দিতে রাজি ছিলাম এবং আমি কথা দিয়েছিলাম আমার মৃত্যুর পড়ো আমার প্রথম স্ত্রীর কোনো রকম অসুবিধা হবে না।’