জি-বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র শিমুলের ভুমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী মানালি দে এবং শিমুলের স্বামী পরাগের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেতা দ্রোণ মুখোপাধ্যায়। ধারাবাহিকে দ্রোণ মুখোপাধ্যায়ের এখন একটাই পরিচয়, এই মুহূর্তে সকলের কাছে তিনি ‘পরাগ’ নামেই পরিচিত।
যদিও তার অভিনীত পরাগ চরিত্রটি প্রথমদিকে দর্শকের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিল। তাকে দেখলেই রীতিমতো ধেয়ে আসত কটাক্ষ। তবে পরবর্তীকালে ‘পরাগ’ চরিত্রটি পজেটিভ দেখানো হয়। ধারাবাহিকে অভিনীত চরিত্রের সাথে বাস্তব জীবনে তার কোন মিল আছে কি? বাস্তব জীবনে কেমন এই অভিনেতা?
বোলপুরের ছেলে অভিনেতা দ্রোণ মুখোপাধ্যায়। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। বর্তমানে মেয়ে বউ বাবা মাকে নিয়ে পূর্ণ তার সংসার। তার বাবাও একজন থিয়েটার জগতের মানুষ। আর তার মা গানের সাথে যুক্ত। তার মায়ের কাছেই বাড়িতে গান শিখতে আসতেন দ্রোণের স্ত্রী। যদিও তাদের বিয়ে হয় সমন্ধ করেই। শুটিং শেষে ফ্যামিলিকে সময় দিতে পছন্দ করেন তিনি। অভিনেতার একটি তিন বছরের মেয়েও আছে যার নাম গুড্ডি।
টিভির পর্দায় খারাপ স্বামী হওয়ায় দর্শকের কোন মন্তব্যই প্রভাব ফেলে না বাস্তবে তার স্ত্রী এর উপর। একসময় এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে দ্রোণ বলেছিলেন, “অনেকে মনে করছেন বাস্তবেও আমি হয়তো এমন। কিন্তু আসলে তো ব্যাপারটা তেমন নয়। আমি বিবাহিত। প্রথম প্রথম এই বিষয়গুলো আমার স্ত্রীকে প্রভাবিত করত। মনখারাপ হত ওর। কিন্তু তার পর এক দিন ভাল ভাবে ওকে বোঝাই বিষয়টা। এখন আর ততটাও গভীরে ভাবে না ও। এখন বিষয়টা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।”
শুধুমাত্র এই ধারাবাহিকেই নয়, এর আগেও বেশকিছু সিরিয়াল এমনকি ওয়েবেও কাজ করেছেন তিনি। আকাশ আটের ‘মেয়েদের ব্রতকথা’ মা ষষ্ঠীর ব্রততে দেখা মিলেছিল দ্রোণের। এই পিরিয়ড ড্রামায় প্রজাবৎসল জমিদার ইন্দ্রর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, আকাশ আটের পুলিশ ফাইলস থেকে শুরু করে ‘গল্প হলেও সত্যি’, ‘দীপাবলির সাতকাহন’-এর মতো সিরিয়ালেও দেখা মিলেছে তার। স্টার জলসার ‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন অভিনেতা।