অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত এবং নীলাঞ্জনা শর্মার বিচ্ছেদ হয়েছে প্রায় অনেকদিন আগে। যদিও এখনো কাগজে কলমে তারা স্বামী-স্ত্রী। তাদের ব্রেকআপের খবর মন ভেঙেছিল সকলের কারণ টলিউডের সবচেয়ে সুখী দাম্পত্য কাটাচ্ছিলেন তারা। আচমকাই যিশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদের খবর গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে নাড়িয়ে দেয়।
সেই সময় শোনা গিয়েছিল যিশু’র জীবনে নতুন নারীর আগমনেই নাকি নীলাঞ্জনার ঘর ভেঙেছে। তাদের পথ আলাদা হওয়ার কারণ আজনা। যিশু অথবা নীলাঞ্জনা কেউ আসল কারণ সামনে আনেনি। যিশু একেবারেই চুপ ছিলেন তাদের ঘর ভাঙার প্রসঙ্গে।
নীলাঞ্জনার ও তাঁর প্রযোজনা সংস্থা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথমবার TV9 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যিশুকে মুখ খুলতে দেখা যায়। যিশু জানান, ‘নীলাঞ্জনার সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থা থাকলে আমি অবশ্যই সেটাই চালিয়ে যেতাম। তবে ও এখন খুব ভালো কাজ করছে। বেশ কিছু নতুন নতুন মেগা শুরু করেছে। ওঁকে অনেক শুভেচ্ছা।’
স্ত্রী সঙ্গে বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি কোনও কথা বলতে চাই না। আগেও বলিনি। আজও বলতে চাই না। অনেকের অনেক ধারনা রয়েছে। তবে আমি একটা কথাই বলব, বাইরে থেকে শুধু বইয়ের কভার দেখে, বইটার বিচার করতে যাবেন না। এটা নিয়ে আমি কোনও দিনই মুখ খুলব না, কারণ আমার ব্যক্তিগত কিছু কারণ আছে। তবে এমন কিছু মানুষ অবশ্যই আছেন যাঁদের সঙ্গে একটা নিয়ে আলোচনা করেছি, যতটা করা যায়। না হলে তো পাগল হয়ে মারা যেতাম। তবে আমি তাঁদেরও বলে দিয়েছি, যদি তাঁরা এটা নিয়ে বাইরে কথা বলেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক থাকবে না।”
তিনি আরও জানান, ‘দুটো মানুষ এক জায়গায় থাকতে পারছে না। ছোটো বেলায় আমরা তিন বন্ধু বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম। তার মধ্যে একজনের সঙ্গে আমার সমস্যা হল। তারপর তাঁর আর আমার সেভাবে বন্ধুত্ব থাকল না। তবে আমি আর আমার আর এক বন্ধু বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েই থেকে গেলাম। তেমন আমরাও বন্ধু ছিলাম। কিন্তু এটা হতেই পারে একটা জায়গায় আমাদের মতের অমিল, মিল, শ্রদ্ধা, একসঙ্গে থাকা সবটাই একটা পয়েন্টে মনে হতেই পারে ঠিক ভাবে হচ্ছে না। তাঁর মানে এই নয় যে, আমি মানুষটার বিরুদ্ধে চলে যাব। আমি বিশ্বাস করি যদি কোনও সমস্যায় পড়ে আমি ওঁর পাশে থাকব।’