‘মুদি দোকান দেখার পাশাপাশি পড়াশুনা করতে হত’, ছোটবেলা কষ্টে কাটলেও আজ পর্দার সফল অভিনেত্রী ‘পরিণীতা’র পারুল ওরফে ঈশানী চট্টোপাধ্যায়

ঈশানী চ্যাটার্জি

এই মুহূর্তে টিআরপি তালিকাতেও শীর্ষস্থান দখল করে আছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’, যেখানে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ঈশানী চ্যাটার্জি ও উদয় প্রতাপ সিং। মডেলিং দিয়েই অভিনয় জগতে পথচলা শুরু করেছিলেন ঈশানী। সেখান থেকেই আজ সকলের পরিচিত ‘পরিণীতা’র পারুল। ইতিমধ্যেই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে পারুল।

তবে ঈশানীর ছোটবেলার গল্প শুনলে বোঝা যায়, জীবনযুদ্ধে তাকে কতটা লড়াই করে এই জায়গায় আসতে হয়েছে। সাধারণ এককামরার ঘরে ছোট থেকে বড় হওয়া, বাবা কন্টাকটরের কাজ করতেন আর মা সেলাইয়ের। মায়ের ইচ্ছা ছিল মেয়ে ডাক্তার হবে,কিন্তু অভাবের কারণে মায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ করা হয়নি ঈশানীর।

সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে খেলতে এসেছিলেন ঈশানী। সেখানেই নিজের জীবন সংগ্রামের কিছু কথা রচনা ব্যানার্জীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ঈশানী।

ঈশানী বলেন, “ছোটবেলায় যখন পড়াশোনা করতাম তখন একটি স্টলে বসে পড়াশোনা করতাম। পরে সেই স্টলটা মুদির দোকানে পরিবর্তন করা হয়। সেই মুদির দোকানে আমি বসতাম, সেখানে জিনিসপত্র বিক্রি করতাম, পড়াশোনাও করতাম সমস্ত আমি দেখতাম। তারপর বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে বাবাকে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে যাওয়া হয়। কিন্তু যাওয়ার পথে বাবা মারা যান। আজ পাঁচ মাস হলো বাবা আমাদের মধ্যে নেই।”

জীবনে প্রতিকূলতা যতই থাকুক, মনোবল ও কঠোর পরিশ্রম যে মানুষকে সফলতার শিখরে পৌঁছে দিতে পারে তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল ছোটপর্দার পারুল ওরফে ঈশানী চ্যাটার্জি।