দক্ষিণ কোরিয়ার চিফ এক্সিকিউটিভ সানকি জেওং সহ ১১ জন এলজি পলিমার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। গত ৭ই মে দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি কেম লিমিটেডের অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তম অফিস থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস ছড়িয়ে পরে চারিদিকে। এর জন্য ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে সাথে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে প্রায় কয়েকশো মানুষ। কেমিকাল প্ল্যান্ট বিষাক্ত স্টেরিন গ্যাস নির্গত হয়ে ঘুমিয়ে থাকা বহু মানুষের প্রান নিয়ে নেয়।
আরো পড়ুন। হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব পরামর্শ দিতে কয়েকশো ড্রোন আকাশ ভরিয়ে দেয় দক্ষিণ কোরিয়া
পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার মীনা “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিইও এবং দুজন পরিচালকসহ মোট বারো সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজন পরিচালক ছিলেন, যাদের একজন দক্ষিণ কোরিয়ান”।
আরো পড়ুন। নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউন মেলবোর্ন
চলতি সপ্তাহে সরকারের একটি কমিটি সুপারিশ করেছিল যে কেমিকাল প্ল্যান্টটি মানুষদের বসতি থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। তবে এলজি পলিমাররা অবহেলা করেছে এবং সতর্কতা ব্যবস্থা নিয়ে তারা কাজ করেননি।
আরো পড়ুন। কলম্বিয়ায় মেয়াদ বাড়ল লকডাউনের, পয়লা আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি
১৯৬১ সালে ওই কারখানা যখন চালু হয়, তখন নাম ছিল হিন্দুস্তান পলিমারস। পরে ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি কেমিকাল তা অধিগ্রহণ করে। তখন এর নাম হয় এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া।
আরো পড়ুন। হংকং থেকে বিদায় নিতে চলেছে টিকটক অ্যাপ
এলজি কেমিকাল লিমিটেড সোমবার বলেছে যে তারা তদন্তে সহযোগিতা করেছে এবং তদন্ত ফলাফলের প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ নেবে। মীনা বলেন, আদালতে প্রমাণিত হলে এই অভিযোগের ফলে আট বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।