বাংলা সিরিয়ালে একসাথে অভিনয় করতে করতে সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেমে পড়েছিলেন স্বরলিপি চট্টোপাধ্য়ায়। দুজনেই টেলিপর্দার জনপ্রিয় মুখ। বর্তমানে যদিও স্বরলিপির পরিচয় অভিনেত্রী হিসেবে নয়, বরং দক্ষিণ কলকাতার এক জনপ্রিয় ক্যাফের মালিক তিনি। একমাত্র মেয়ে সহচরীর সঙ্গে দিব্যি রয়েছেন স্বরলিপি।
বহুদিন হল দাম্পত্য জীবনে চিড় ধরেছে সৌম্য-স্বরলিপির। সম্প্রতি সিটি সিনেমার এক সাক্ষাৎকারে স্বরলিপি প্রকাশ্যে আনলেন সৌম্যর সঙ্গে ক্ষতভরা বৈবাহিক সম্পর্কের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। স্বরলিপি জানিয়েছেন, সৌম্যর সঙ্গে সংসার করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত কতটা অপমানিত হয়েছিলেন তিনি।
বিয়ের কয়েক মাস কাটতেই স্বরলিপি জানতে পারেন, সৌম্যর ফোনে স্বরলিপিকে কটাক্ষ করে একাধিক মেসেজ আসছিল, সৌম্যর অনুরাগীদের তরফ থেকে। মেসেজে সবাই প্রশ্ন তুলত, স্বরলিপি মা হতে পারবেন কিনা তাই নিয়ে।
সব কিছু জেনেও চুপ ছিলেন স্বরলিপি। ততদিনে অল্প অল্প করে জমা টাকা দিয়ে ক্যাফের ব্যবসা শুরু করেছেন তারা। ঠিক সেই সময়ই স্বরলিপি জানতে পারেন, সৌম্যর পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়ে। এদিকে সেইসময় স্বরলিপি প্রেগন্যান্ট।
সাক্ষাৎকারে স্বরলিপি, সৌম্যর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জানান, প্রেগন্য়ান্সির সময়ও সৌম্যর থেকে কোনওরকম সাহায্য পাননি তিনি। বরং চোখের সামনে স্বরলিপি দেখতেন, তাঁর স্বামী সৌম্য রাতের পর রাতে অন্য মহিলার বাড়িতে পার্টি করছেন। রাতে থাকছেন।
স্বরলিপি বলেন, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন সময়ে বহুবার বমি করতাম। কখনও পেটে হাত দিয়েও দেখেনি সৌম্য। এমনকী, আমি বমি করলে, গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যেত। যাচ্ছে তাই বলত আমাকে। আমি নাকি অশিক্ষিত, ইংরেজি জানি না। আমি তখন প্রেগন্য়ান্ট, আর সৌম্য অন্য নারীর প্রেমে।
নিজেকে কেমন একটা কাজের মাসির মতো মনে হত। শুনতাম, কাজের মাসিদের গর্ভে সন্তান দিয়ে তাঁদের স্বামীরা চলে যেত। আমারও তেমন মনে হত।
সৌম্যর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেও ভেঙে পড়েননি স্বরলিপি। বরং মেয়ে সহচরীকে নিয়ে নিজেদের নতুন জীবন শুরু করেছেন।

