‘আমি অতটাও লম্পট নই…বিয়ের পর থেকে”, মুখ খুললেন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়

সাহেব চট্টোপাধ্যায়

বাংলা টেলিভিশন জগতে সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের মত দাপুটে খলনায়ক কিন্তু খুব কমই আছে। এই মুহুর্তে অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘মিতিন: একটি খুনির সন্ধানে’ ছবিতে সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় আলচনার কেন্দ্রে।

পর্দায় তিনি একটি গান রেকর্ডিং সংস্থার কর্ণধার। তাঁর মা লখনউয়ের খ্যাতনামী বাইজি। বাবা প্রথম স্ত্রীকে ত্যাগ করে তাঁকে বিয়ে করেন। সাহেবের সৎভাই রয়েছেন। এতগুলো কারণে ভাল গুণের সঙ্গে অজস্র মন্দ দিকও রয়েছে তার চরিত্রে। পর্দায় গানের সমঝদার সাহেব একাধিক নারীসঙ্গে অভ্যস্ত। রেগে গেলে তোড়ে গালমন্দ ছোটে তাঁর মুখ থেকে!

পর্দার মতোই সাহেব বাস্তবেও গান ভালবাসেন। খুব ভাল রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে পারেন। বাস্তবে রেগে গেলে কি একই প্রতিক্রিয়া থাকে অভিনেতার? বাস্তবে নিশ্চয়ই তার প্রচুর প্রেম?

আনন্দবাজার ডট কম কে সাহেব জবাব দিয়েছেন, “হাজার রাগ হলেও গালমন্দ একেবারেই আসে না। বরং বলতে অস্বস্তি হয়। অভিনয়ের সময়েও হয়েছে। নিজেকেই নিজে বুঝিয়েছি, যা করছি সবটাই অভিনয়।”

“ছোট বয়সে একটা-দুটো প্রেম অবশ্যই হয়েছে। কিন্তু ‘নারীসঙ্গ’ বলতে যা বোঝায়, তা একেবারেই হয়নি। বিয়ের পর থেকে তো নয়ই।” অভিনেতার দাবি, তাঁর অনুরাগিণীরা হয় বেশ ছোট, নয়তো তাঁর থেকে বড়। ফলে, তাঁর স্ত্রী তাকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ভোগেন না।

পর্দায় তিনি ‘দুষ্টুমি’র সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই উপভোগ করেন? সাহেব বললেন, “যা করি পর্দায় করি। পুরোটাই অভিনয়ের খাতিরে। অভিনয় উপভোগ করি। প্রত্যেকটা চরিত্র উপভোগ করি। তাই হয়তো আমার অভিনীত চরিত্র জীবন্ত দেখায়। দর্শক পছন্দ করেন। পর্দায় যতই লম্পট দেখানো হোক, বাস্তবে আমি ‘শান্তশিষ্ট, পত্নীনিষ্ঠ ভদ্রলোক’।”