অনেকেই মনে করেন অভিনয় জীবন মানেই প্রচুর অর্থ উপার্জন। তবে এই পেশার মধ্যেও রয়েছে অনিশ্চয়তা। অনেক সময় এক-দু’বছর কাজের অভাবে স্ট্রাগল করতে হয়।
অভিনেত্রী শ্রুতি দাস, বাংলা টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। জি-বাংলার রাঙা বউ ধারাবাহিকে কাজ করার পরেই বড়পর্দায় এবং ওয়েব সিরিজে সুযোগ পেয়েছেন। মুক্তি পেতে চলেছে তার অভিনীত ছবি ‘আমার বস’। মাঝে ডাইনি ওয়েব সিরিজে তাকে দেখা গিয়েছে। তবে সেই সব শুটিং হয়ে গেছে অনেক আগেই। আপাতত অভিনেত্রী হাতে কোনও কাজ নেই।
‘আমার বস’ ছবির আড্ডায় আনন্দবাজার ডট কমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছোটপর্দায় কাজের প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, ‘ছোট পর্দা আমার সব। ওখান থেকেই শুরু আমার। ফলে, ছোট পর্দাকেও কোনও ভাবেই অবহেলা করতে পারব না। আমার মতো চরিত্র যখন কেউ লিখবেন তখন অবশ্যই করব। সে রকম কেউ লেখেননি এখনও পর্যন্ত। অনেকেই অনেক চরিত্রে আমায় ভেবেছেন। আমার মনে হয়েছে, আমি সে গুলোর যোগ্য নই। তাই আমি তাই মুখিয়ে আছি। ছোট পর্দা, ধারাবাহিকে অভিনয়ই আমার শিকড়। আপনাদের মাধ্যমে অনুরাগীদেরও বলছি, আমায় ফেরালেই আমি ফিরব।’
শ্রুতি আরও যোগ করেন, ‘আমি প্রচণ্ড আত্মনির্ভরশীল। প্রায় দেড় বছর আমার সে রকম কোনও উপার্জন নেই। অথচ, আমি-মা-বাবা— তিন জনের খরচ চালানোর দায়িত্ব আমার উপর। খুবই স্ট্রাগলিং পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ‘আমার বস্’ দেড় বছর আগের একটি শুটিং। তার পর হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য ‘ডাইনি’ করেছি। এখন আর কিন্তু কাজ নেই। কিছু পেতে গিয়ে কিছু তো ছাড়তেই হবে। প্রথম দিনই সাহানা দত্ত আমায় নায়িকা বানিয়ে দিয়েছিলেন। তখনও আমায় লাইন দিয়ে অডিশন দিতে হয়নি। প্রায় বাড়ি বসে, এক কথায় কাজটা পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই মনে হয়, এই স্ট্রাগলটা আমার দরকার। বড় পর্দায়, সিরিজ়ে নিজেকে প্রমাণিত করতে গেলে এই লড়াই করতে হবে।’