কিছুদিন আগেই বর্ধমানে রাস্তায় ভবঘুরের মতো ঘুরছিলেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী সুমি হর চৌধুরী। পরনে কালো শার্ট, যার এক হাত গোটানো। অবিন্যস্ত চুল। এলোমেলো অবস্থা। তিনি নাকি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন? তবে সেই খবর কতটা সত্যি?
মাস তিনেক পর প্রকাশ্যে আসা তাঁর সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে একেবারে স্বাভাবিক অবস্থায় দেখা গেল সুমিকে। অভিনেত্রীকে নিয়ে রটানো মিথ্যে এবার প্রকাশ্যে এলো।
সুমির কথায়, “সেদিন যদি আমার পোশাক পরিপাটি থাকতো, তাহলে ওরা এসব গুজব রটাতে পারত না। ওরা গ্রাম্য মানুষজন, ওদের কাছে আমার আচরণ অস্বাভাবিক লাগতেই পারে। তবে, আমাকে নিয়ে যে এইসব চলছে আমি সেটা অনেক পরে জেনেছি।”
মা এবং মেয়ের সঙ্গে সামান্য মনোমালিন্য নিয়েও অনেকে গল্প বানিয়ে ফেলেছিলেন। সুমির স্পষ্ট জবাব, “আমার মা আর মেয়ের সঙ্গে একটু ঝামেলা চলছিল ঠিকই, কিন্তু কখনোই মানসিক ভারসাম্য হারায়নি।”
সুমি জানান, ওই সময় তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেছিলেন অত্যন্ত ক্লান্ত অবস্থায়। এই অবস্থায় নিজের লাগেজ থেকে কিছু জামাকাপড় আর বইপত্র নিয়ে বাকিটা এক বন্ধুর বাড়ি রেখে, বোলপুরে নিজের ভাড়া বাড়িতে ফেরেন। সেখানে দেখতে পান, দরজায় তালা দিয়ে বাড়ির মালিক কোথাও গিয়েছেন।
অগত্যা ওই অবস্থাতেই গুরুদেবের বাড়ি বিশ্রাম নিতে যাবেন ঠিক করেন। গুরুদেবের বাড়ি আমরুল, সেইদিকে অভিনেত্রী খুব একটা যাননি আগে তাই ভুল রাস্তায় ঢুকে পড়েন।
কোনও একটি গ্রাম্য বাজারে উপস্থিত হয়ে জানতে পারেন তিনি ভুল জায়গায় আছেন। ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় কয়েকজন তাকে স্থানীয় একটি ক্লাবে আশ্রয় নিতে বলেন।
সেখানে অনেকেই অভিনেত্রীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। টানা ভ্রমণের ধকল থেকে শরীরে ক্লান্তির ছাপ আর এলোমেলো পোশাক মিলিয়ে তাকে দেখে মানুষের মনে ভুল ধারণা জন্মায়।


