বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল দে। যে নিজের প্রতিভার দ্বারা ১৬ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে রয়েছেন। নিজের সাবলীল অভিনয় দিয়ে অগণিত দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে। ‘দুর্গা’, ‘বেহুলা’ ধারাবাহিকে তার অভিনয় তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সকলকে। কিন্তু ভালো অভিনয় জানা সত্ত্বেও প্রথমদিকে ইন্ডাস্ট্রিতে তেমন কদর পাননি। ‘দেশের মাটি’ সাংবাদিক ‘উজ্জয়িনী’ চরিত্র তার ক্যারিয়ারের মোড় বদলে দিয়েছে। এমনকি বড় পর্দায়ও পা রেখেছেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম করেই আজ একজন সফল অভিনেত্রী পায়েল। নতুন ধারাবাহিক শুরু করার আগে ‘টাইম অফ ইন্ডিয়া’ এক সাক্ষাৎকারে নিজের মনের কথা তুলে ধরলেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী পায়েল দে জানান, “এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ১৬ বছর। আমি যখন ‘সাহিত্যের সেরা সময়’ করি তখন আমি দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ি। পরে, আমি ‘একদিন প্রতিদিনে’ অভিনয় করেছি। আমার যাত্রা সত্যিই বিস্ময়কর ছিল এবং আমি সমস্ত চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।
বিনোদন শিল্পে, অভিনেত্রীদের বেশিরভাগই বিয়ে এবং মাতৃত্বের চেয়ে ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার জন্য ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়। একটি প্রচলিত ধারণা আছে যে বিয়ে বা মাতৃত্বের সাথে একজন অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। বিয়ের পরে তাদের পার্শ্বচরিত্রে রোল করতে দেওয়া হয়।
2012 সালে, ‘বধূ কোন আলোতে’ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে আমি বিয়ে করি। বিয়ের পরও আমি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছি। তবে মেরখ (পায়েলের ছেলে) হওয়ার পর আমি প্রধান চরিত্র ছেড়ে দিই। কারণ আমি ওর কাছে থাকতে চেয়েছিলাম। তাই অভিনয় জগত থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়েছিলাম। সর্বদাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি মেরখ আমার ছেলে।
আমাকে অনেকেই বলেছিল বিয়ে এবং মাতৃত্ব তোর ক্যারিয়ার শেষ করে দেবে। তবে তেমনটা হয়নি। সেই ভুল প্রমাণ করে আমি অনেক শোতে ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছি এবং একটি নতুন ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছি। এর জন্য আমি সত্যিই লীনা দি’কে ধন্যবাদ জানাব। তিনি ভরসা করে আমায় এই সুযোগ দিয়েছেন।
আমি যদি আমার পরিবার, সন্তানের এবং ক্যারিয়ারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারি, পর্দায় আমার সেরাটা দিতে পারি, তাহলে প্রধান চরিত্রে সুযোগ পাব না কেন? এরকম চিন্তাধারা পরিবর্তন করা উচিত”।
অভিনেত্রী আরও জানান, “আমার শরীরের এখনো মাতৃত্বের দাগ রয়েছে। আর আমি এটা মেকআপে লুকাইও না। আমি মনে করি এটি সবচেয়ে সুন্দর জিনিস। এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়, লুকানোর কিছু নেই”।
সূত্রঃ timesofindia . indiatimes.com/tv/news/bengali/i-was-told-marriage-and-motherhood-would-end-my-career-payel-de-on-breaking-the-stereotype/photostory/88213736.cms?picid=88214168
You are just a perfect modern woman that’s what I can say ❤❤❤❤❤