ঝাড়গ্রামের মেয়ে আরাত্রিকা মাইতি। সেখান থেকেই শহরে এসে কিভাবে নিজের জায়গা দখল করে নিল বাঙালির ড্রয়িংরুমে? আসুন আজ সেই গল্পই আপনাদের সকলকে জানাই।
বর্তমানে আরাত্রিকাকে জি-বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’য় রাই চরিত্রে অভিনয় করতে দেখছে দর্শক। ইতিমধ্যেই নিজের অভিনয় দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছে আরাত্রিকা। তবে অভিনয় জগতে আসার জার্নিটা কেমন ছিল তার?
সম্প্রতি এবিপি আনন্দের সাথে আড্ডায় যোগদান করে অভিনেত্রী। তিনি জানান, তার প্রথম কাজ রানি রাসমণি ধারাবাহিকে একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আরাত্রিকা। যেখানে কোন সংলাপ ছিল না তার, তিনদিন খালি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তাকে। অডিশন দিয়েই কাজ পেয়েছিলেন তিনি।
এরপর ২০২১ সালে লকডাউনের সময় অগ্নিশিখার জন্য অডিশন দেয় অভিনেত্রী। সিলেক্টও হন। খেলনা বাড়ি ধারাবাহিকেও মিতুলের চরিত্রে অভিনয় করে ভালোই প্রশংসা পেয়েছেন তিনি।
ছোট থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন আরাত্রিকা। অন্যদিকে তার দাদু থিয়েটার করতেন, এমনকি তার বাবা জেঠু সেখানেই যুক্ত ছিলেন। ছোট থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাটক, নাচে অংশ নিতেন অভিনেত্রী। এইভাবেই পথ চলা শুরু হয় তার। সাথে ছিল তার মায়ের প্রচেষ্টাও।
জানা যায় তার মা’ই একাধিক অডিশনে যোগাযোগ করতেন। মায়ের চেষ্টাতেই স্টুডিওপাড়ায় গিয়ে অডিশন দিতেন আরাত্রিকা। তবে অডিশন দিয়ে যে সবসময় সফল হয়েছেন তেমনটা নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’অনেক জায়গায় অডিশন দিয়েও বাদ পড়েছি। কেউ বলেছেন তাঁদের স্বাস্থ্যবান অভিনেত্রী চাই। কেউ বলেছেন আমায় নাকি বাচ্চা বাচ্চা দেখতে। কেউ কেউ তো অডিশন নেওয়ার আগেই বাদ দিয়েছেন।’
বর্তমানে আরাত্রিকা যোগমায়া দেবী কলেজের সাইকোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এখনও পর্যন্ত বড় পর্দায় পা রাখা হয়নি তার। তিনি এও জানান, সুযগের অপেক্ষায় রয়েছেন, তবে এখন ফোকাস শুধু ছোটপর্দাই।