বাংলা টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন এষা ভট্টাচার্য। একসময় সময় চুটিয়ে কাজ করেছেন। তবে আচমকাই অভিনেত্রীর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার ছায়া। ২০১৮ সালে ব্রেস্ট ক্যা’ন্সার ধরা পড়ে অভিনেত্রী। শুরু হয় চিকিৎসা।
অসুস্থ হওয়ার পর বেশ কিছু বছর অভিনয় জগতের বাইরে ছিলেন। এই মারণরোগের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছেন তিনি। পাশে ছিলেন স্বামী দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং মেয়ে প্রেরণা ভট্টাচার্য। হাসপাতালে চিকিৎসা, ঔষধ খাওয়ানো, মনের জোর বাড়ানো সবসময় পাশে ছিলেন স্বামী আর মেয়েই।
কেমোথেরাপির জন্য ন্যাড়া হয়ে যান। একসময় যিনি খুব সাজতে ভালোবাসতেন তার জীবন থেকে সব সাজ নষ্ট হয়ে যাবে কল্পনা করতে পারেননি। তবে ভেঙে না পরে হাসি মুখেই সব সামলেছেন। একসময় উইগ কিনলেও পড়ে ন্যাড়া মাথাতেই ক্যামারার সামনে দাঁড়িয়েছেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
অভিনেত্রীর যখন ১৭ বছর, তখন বিয়ে করেন তিনি। এষা ভট্টাচার্যের বয়স ছোট থাকায় পরিবারের লোকজন সন্তান নিতে তাড়াতাড়ি বারণ করে দেয়। বিয়ের পাঁচ বছর পর প্রেরণার জন্ম হয়। অভিনয় না শিখলেও এর প্রতি আলাদা টান ছিল। বিজ্ঞাপনের মুখ হওয়ায় এক প্রযোজকের নজরে আসেন আর তারপরেই মেলে অভিনয়ের সুযোগ। ‘সোনার হরিণ’ ধারাবাহিকের হাত ধরেই প্রথম অভিনয়ে পা রাখেন। শুধু ছোটপর্দা নয়, কাজ করেছেন বড়পর্দাতেও। তবে ২০১৮ সাল যেন সবকিছু তছনছ করে দেয়। তবে নিজের মনের জোরে খারাপ সময় পেরিয়ে এসেছেন।
সুস্থ হয়ে ফেরেন কাজেও। তাঁকে বহুবছর পর পর্দায় দেখে খুশি হয়েছিলেন তার ভক্তরা। বর্তমানে মেয়ের প্রেরণার ভ্লগিং চ্যানেলেও তাঁকে দেখা যায়।
সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেলের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের যুদ্ধের কাহিনী শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রী অতীতের অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে জানান, তিনি সহকর্মীদের কাছ থেকে চরম অপমানিত হয়েছেন একসময়। অপমান সহ্য করে বাড়িতে এসে কেঁদেছেন কিন্তু কিছু মুখের উপর বলতে পারেননি। কারণ তিনি কোনদিনও কারো মনে কষ্ট দেওয়ার মতো কাজ করতে পারতেন না।