‘আমি ভীষণভাবে মা হতে চাই, জানি না কোনওদিন বাস্তবায়িত হবে কি না’…বললেন জনপ্রিয় ব্যবসায়ী অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়

অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়

বাংলা টেলিভিশন এক পরিচিত মুখ অভিনেত্রী সুস্মিতা রায় (চক্রবর্তী)। যিনি কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকে পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ। এছাড়াও  ‘অপরাজিতা অপু’, ‘যোগমায়া’, ‘জগদ্ধাত্রী’-র মতো একাধিক ধারাবাহিকে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শক তাকে বেশি চেনেন একজন ব্লগার হিসাবে। অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীর বৌদি তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কুটনি বৌদি’ নামেই পরিচিত। সুস্মিতা একদিকে যেমন ফেসবুকে ব্লগ, অভিনয় সামলাচ্ছেন ঠিক তেমনি একজন ব্যবসায়ী। অনেকেই হয়তো জানেন না অনলাইনে ‘মেডো কার্ট বিজনেস’ রয়েছে। এই অ্যাপ থেকে আপনি  দুঘ, ঘি, মধু, ডিম, দই, ফল, গ্রসারি আইটেম ইত্যাদি কিনতে পারবেন যা একেবারে ফার্ম টু কাস্টোমার হাউস প্রক্রিয়া। অর্থাৎ কাচা দুধ কোনও রকম প্রক্রিয়াজাত না করেই তা গ্রাহকদের বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়। এই ব্যবসায়েও ভালো প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন সুস্মিতা।

তবে অভিনেত্রী মানেই যে ঝা চকচকে জীবন তা নয়, সুস্মিতার অতীতে রয়েছে এক বড় কালোছায়া। তার প্রথম সন্তানের মৃত্যু হয় চিকিৎসকের ভুলে। ডেলিভারির সময় সন্তানকে হারান।

ইটিভি ভারতের এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা বলেন, ‘আমি আমার প্রথম সন্তানের মৃত্যুতে কাঁদতে পর্যন্ত পারিনি ৷ সি সেকশন হওয়ার পর যে কোনও মা তার সন্তানের মুখ দেখে অপারেশনের যন্ত্রণা ভুলে যায় ৷ আমার পেটে যেহেতু কাটা ছিল কাশতে পর্যন্ত পারছিলাম না ৷ কাঁদতে গেলে তো শরীরে ঝাঁকুনি হবে ৷ সেটা হলেও অপারেশনের জায়গায় টান পড়বে ৷ ফলে আমার ইমোশনটাকে মেরে ফেলেছিলাম ৷ আমার স্বামী (সব্যসাচী চক্রবর্তী) হয়তো একটু কেঁদে ছিল ৷ কিন্তু আমার সামনে নয় ৷’

অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, ‘আমি মনে করি ওটা আমার আর একটা জন্ম ছিল ৷ জীবনের একটা পার্ট ৷ ঘটেছে একটা ঘটনা ৷ যেদিন থেকে আমি বুঝতে শিখেছি সেদিন থেকেই বাচ্চা, সংসার আমার চাই ৷ কাজের পাশাপাশি এটাও আমি ভীষণভাবে চাই ৷ অনেক সময় পরিস্থিতি সঙ্গ দেয় না ৷ জানি না কোনওদিন বাস্তবায়িত হবে কি না ৷ আমি ভীষণভাবে মা হতে চাই ৷’