স্টার জলসার একটি অন্যতম ধারাবাহিক ‘আয় তবে সহচরী’। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধারাবাহিকের প্রথম দিকে দেখানো হয় এক মাঝবয়সী মহিলার স্বপ্নের লড়াই। যার স্বপ্ন পড়াশুনো শিখে নিজের পরিচয় গড়ার। শ্বশুর বাড়ির আড়ালে গিয়ে পড়াশুনো করত সহচরী।
মাঝপথে ধারাবাহিকের ট্র্যাক পরিবর্তন করে নিয়ে আসা হয় পরকীয়ার গল্প। এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গেল সহচরী অর্থাৎ অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পড়াশুনোর লড়াইয়ের মাঝে গল্পে পরকীয়া দেখানোর জন্য অভিনেত্রী আঙুল তোলেন দর্শকের দিকেই।
কনীনিকার দাবি, “দর্শকেরা ভালো গল্প দেখতে চায় না, কুটকাচালি-পরকীয়া দেখতে চায়। তাই দেখানো হচ্ছে। এতে আমাদের করার কিছু নেই। প্রথম দিকে লেখাপড়া নিয়ে সহচরীর লড়াই দেখছিল না দর্শক, তখন টিআরপি ৫-এর ঘরে, দেবিনার ট্র্যাক ঢুকতেই ৮-৯ এর ঘরে টিআরপি। গল্পের লেখিকা সাহানা দত্ত একজন দক্ষ লেখিকা, তিনি চাইবেন না তার ধারাবাহিক মাত্র তিন-চার মাসে বন্ধ হয়ে যাক। যদিও কিছু শিক্ষিত দর্শকরা সহচরীর পড়াশুনোর ট্র্যাকের প্রশংসা এখনও করেন। কিন্তু অধিকাংশ দর্শক গল্পে ঝামেলা দেখতে চায়”।
‘আয় তবে সহচরী’ ট্র্যাক পরিবর্তন করা প্রসঙ্গে নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন অন্য এক জনপ্রিয় লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানায়, “আয় তবে সহচরী’ মতো অভিজ্ঞতা তার জীবনে কখনো হয়নি”। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, তার গল্প ‘দর্শকের ভালো লাগেনি বলে কোনওদিনও গল্পের ট্র্যাক চেঞ্জ করেননি তিনি। বরং মূল অভিনেত্রী ভালো না করলে, ধারাবাহিকের অন্য অভিনেত্রীকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন এবং গল্প এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সেই কারণেই তার গল্পের সাবট্রেকও বেশিরভাগ হিট”।