আজ থেকে জি-বাংলায় শুরু হচ্ছে ‘পরিণীতা’। যার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা উদয় প্রতাপ সিংহ। এই প্রথমবার নায়কের চরিত্রে উদয়। এর একাধিক জনপ্রিয় মেগা ধারাবাহিকে পার্শ্বচরিত্রে কাজ করেছেন। মিঠাই ধারাবাহিকে রাতুল চরিত্র এবং নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে চয়ন চরিত্রে অভিনয় করে ছাপিয়ে গেছেন।
প্রথমবার নায়কের ভূমিকায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দ বাজার অনলাইনের কাছে অভিনেতা জানান। ‘এই প্রথম নায়কের ভূমিকায়। রাজি হওয়ার জন্য যথেষ্ট জোরালো কারণ। তার থেকেও বড় কারণ, আমায় কলেজ পড়ুয়ার ভূমিকায় নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। পর্দায় আমি ২৩ বছরের যুবক। বাস্তবে ৩৩! এক মাসে ১০ কিলো ওজন ঝরিয়েছি যাতে পর্দায় নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। জি বাংলা, ধারাবাহিকের পরিচালক আমায় ভরসা করে চরিত্রটি দিয়েছেন। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বলিউড ধাঁচে কলেজ কালচার দেখানো হবে। পড়াশোনা কম, নাচগান, রকমারি বাইক, গাড়ির মেলা। নিজেকে ভাঙার অনেক সুযোগ রয়েছে।’
মেগার ক্ষণস্থায়ীত্ব নিয়ে উদয়কে প্রশ্ন করা হলে উদয়ের স্পষ্ট জবাব, ‘এটা তো আমার হাতের বাইরে। তিন মাস, ছ’মাস না তিন বছর চলবে এ গুলো আমার ভাবার কথাও নয়। আমার পেশা অনুযায়ী, রোজ স্টুডিয়োয় আসব। ১৪ ঘণ্টা কাজ করব। চরিত্রকে ক্যামেরার সামনে ফুটিয়ে তুলব। প্যাকআপ হলে চলে যাব। কোনও ধারাবাহিকের গল্প ভাল না হলে, দর্শক ধরে রাখতে না পারলে কিছু করার থাকে না। কোন গল্প দর্শকের পছন্দ হবে, সেটাও আগাম বলা যায় না। এ ক্ষেত্রে আমরা বেশি চিন্তা না করে নিজেদের কাজটুকুই করে যতে পারি।’
অভিনেতা আরও বলেন তাকে শুনতে হচ্ছে ‘এ কেন নায়ক! অন্য কাউকে কেন নায়ক করা হল না?’ তবে এসব শুনে সমালোচনা শুনে উদয়ের বেশ মজা হচ্ছে কারণ তার মতে, ‘কেন এঁদের নিয়ে মাথা ঘামাব? এঁরা কারা? এঁদের তো চিনিই না। সমাজমাধ্যমে প্রোফাইল ছবি পর্যন্ত নেই! আমার চোখে যাঁদের কোনও অস্তিত্বই নেই কেন তাঁদের নিয়ে মাথা ঘামাব? যাঁরা এই আচরণ করেন তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যায় জর্জরিত, হতাশ। সেই ব্যর্থতা, হতাশা থেকে অন্যের ‘ভুল’ খোঁজেন। এটা আমি জানি।’