‘হাতে কাজ নেই, বসে আছি, এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক’, আক্ষেপ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার

অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়া

বাংলা ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়া র জীবনে কোনও পরিবর্তন আসেনি। সেই একই পুরনো সাজ, কপালে বড় টিপ, খোঁপায় ফুল ও ঠোঁটে লিপস্টিকে এখনো দেখা মেলে তার। বহু বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি।

বহুদিন বাদে দেবের ‘টনিক’ ছবিতে অভিনয় করলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। কিন্তু বহুদিন তাকে টিভির পর্দায় দেখা যায় না। এই প্রসঙ্গে আনন্দ বাজার অনলাইনের একটি সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

সর্বশেষ তাকে ‘ক্ষীরের পুতুল’ ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে। তারপরে টিভির পর্দায় মিসিং ছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়া আক্ষেপের সুরেই জানান, এতদিন তার কাছে কোনও কাজ ছিল না। তবে কাজ করতে চেয়েছি। তিনি জানান, “‘ক্ষীরের পুতুল’ এর পর আরও কোনও কাজের প্রস্তাব পাই নি। ডাক আসেনি। দীর্ঘদিন বসে থাকার পর নিজেই এক নামী প্রযোজককে ফোন করে বলি যে আমার জন্য কোনও চরিত্র থাকলে জানিও। এর আগে জীবনে কাউকে কখনও বলিনি কাজের জন্য। অর্থের অভাবের জন্য নয় তবে কাজের মানুষ কাজ ছাড়া বসে থাকতে পারি না। অসুস্থ, কাজ করতে পারছি না, সেটা অন্য কথা। কিন্তু সুস্থ মানুষ, কাজ নেই, বসে আছি। সেটা যন্ত্রণাদায়ক”।

তিনি আরও বলেন, “জীবনে সব কিছুই পরিবর্তনশীল। তবে আমি প্রাচীনপন্থী, আধুনিকতা মেনে নিতে কষ্ট হয়। প্রতি পদক্ষেপে মনে হয়, এ রকম ভাবে কেন বলছে, এ ভাবে কেন করছে? কিন্তু মানিয়ে নিতে হয়। তার মধ্যেই নিজস্বতা বজায় রাখি”।

এতদিন পর দেবের সঙ্গে কাজ করলেন শকুন্তলা বড়ুয়া। এব্যাপারে তিনি জানান, “দেবের সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। ও খুব ভালো ছেলে। দার্জিলিংয়ে ছিল ছবির শুটিং। বয়স হয়েছে, পায়ে ব্যাথা। যে হোটেলে ছিলাম, সেখানে আমার ঘরটা ছিল পাহাড়ের অনেকটা উপরে। খুব কষ্ট হত উঠতে। দেবকে বললাম। ও শোনা মাত্রই আমার জন্য অন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। ‘টনিক’এ আমার চরিত্রের নাম উমা সেন। এই ছবিতে আলাদা করে অভিনয় করতে হয়নি। আমি যেমন, ঠিক তেমনই আমার চরিত্র।

সূত্রঃ khabor24x7 . com/entertainment/shakuntala-barua-shared-her-experience-to-work-with-dev-in-tonic-61129/

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here