রায়দিঘির মেয়ে সবার ঘরে ঘরে দীপা হয়ে ওঠা জার্নিটা অতটা সহজ ছিল না অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষের। যাকে আপনারা এই মুহূর্তে দীপা নামেই বেশি চেনেন। হ্যাঁ, অনুরাগের ছোঁয়া সেরা নায়িকা দীপার কথাই বলা হচ্ছে এখানে। অনেকেই হয়তো তার আসল নামটি জানেন না। তার আসল নাম স্বস্তিকা ঘোষ।
রায়দিঘির খুব সাধারণ পরিবার থেকে চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে অভিনেত্রী হওয়ার জন্য কলকাতা শহরে এসেছিলেন তিনি। আজ থেকে বছর দেড়েক এই মেয়েটিকে কেউ চিনতই না। কিন্তু আজ তার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া।
অডিশন দেওয়ার সময় রায়দিঘি থেকে লম্বা ট্রেন জার্নি করে কলকাতা শহরে আসতেন। মাঝেমধ্যে বাবার সাথে স্টেশনেই রাত কেটেছে তারা। যদিও স্বস্তিকা এই কষ্টকে জীবনের একটা সামান্য লড়াই মনে করেন। তার জীবনের জার্নি খুব কঠিন মানতে নরাজ অভিনেত্রী।
‘সান বাংলা’য় সরস্বতীর প্রেমে লিড হিসাবেই অডিশন দিলেও তাকে পার্শ্ব চরিত্রে নেওয়া হয়। তখন তিনি ভাবতেই পারেননি পরবর্তীকালে তার জন্য বড় ব্রেক অপেক্ষা করছে। এই সিরিয়ালের পর ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র নায়িকা হিসাবে অডিশনে ডাক আসে। আর তাতেই ভাগ্যের শিকে ছেড়ে।
অনুরাগের ছোঁয়া’য় দীপা চরিত্রে অভিনয় করার পর থেকে স্বস্তিকা জীবন অনেক বদল এসেছে। এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, “দীপা চরিত্রে অভিনয় করার পর আমার প্রচুর অভিজ্ঞতা হয়েছে। জীবনই অনেক কিছু বদলে গেছে। এখন রাগ কন্ট্রোল করা শিখে গিয়েছি। বিয়ের আগেই বুঝতে পেরিছি বিয়ের পরের জীবন কেমন হয়, বিয়ে আগেই বাচ্চা মানুষ করা শিখে গিয়েছে। সোনা-রুপার মা হয়ে অনেক বেশি ধৈর্য্যশীল হয়ে পড়েছি।’