‘দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না… এত কষ্ট, যন্ত্রণা যেন…’, শারীরিক অসুস্থতায় মন ভালো নেই সৌমিতৃষার

সৌমিতৃষা কুন্ডু

মন ভালো নেই মিঠাইরানীর। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের পরে ‘প্রধান’ এবং ‘কালরাত্রি’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে আর তাকে সে ভাবে পর্দায় দেখেননি দর্শক। ক্যামেরার সামনে আর দেখা যায়নি সৌমিতৃষা কে। শারীরিক অসুস্থতা ও ব্যক্তিগত সমস্যার কারণেই আপাতত গৃহবন্দি অভিনেত্রী। যদিও ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় টুকটাক পোস্টে নজর কাড়ছেন অভিনেত্রী।

জন্মাষ্টমীর সকালে আচমকা লাইভে এসে নিজের মন খারাপের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সৌমিতৃষা কুন্ডু। অভিনেত্রী বরাবরই কৃষ্ণভক্ত তা অনুরাগীদের কাছে অজানা নয়। নিজের জন্মদিন হোক বা গোপালের, সবসময়ই বৃন্দাবন তাঁকে টানে। কিন্তু এবার জন্মাষ্টমীতে বৃন্দাবন যেতে পারছেন না সৌমিতৃষা। আর তাতেই মন খারাপ অভিনেত্রীর।

সম্প্রতি মিঠাইরানীর পোস্ট করা ভিডিওতে সৌমিতৃষাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এত শারীরিক সমস্যা, দাঁড়িয়ে থাকতে না পারা, কাজ করতে না পারা— এসবের মাঝে মানসিক শান্তিটা কোথায় যেন চলে গিয়েছিল। যে-ই জন্মাষ্টমী আসবে আসবে করতে শুরু করল, রাত পোহালেই তো জন্মাষ্টমী, আমার শারীরিক কষ্ট, যন্ত্রণা, মানসিক চাপগুলো কোথায় যেন হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। খালি মনে হচ্ছে, ছুট্টে যদি বৃন্দাবন যেতে পারতাম। আমার কাল রাত থেকে ভীষণ ইচ্ছে করছে, বৃন্দাবনে ছুটে চলে যাই। কিন্তু এতটা জার্নি এখন করতে পারব না।’

সৌমিতৃষা আরও বলেন, ‘যাঁরা ঈশ্বরের ভক্ত হন, তাঁদের বোধহয় জীবনে অনেক সমস্যা আসে। আগে ভাবতাম, যাঁরা ঈশ্বরের ভক্ত, তাঁরা ভিভিআইপি পাস পায় জীবনে ভালো থাকার জন্য। এখন ধারণাটা কিছুটা বদলেছে। যাঁরা ঈশ্বরের ভক্ত, তাঁদের অনেক বেশি কষ্ট করতে হয় জীবনে। শারীরিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা, সব ধরনের কষ্ট পেতে হয়। এই কষ্ট না করলে হয়তো ভগবানের আরও কাছে পৌঁছানো যাবে না।’

তবে এই মুহূর্তে নিজের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই জানাননি সৌমিতৃষা।