আজও বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম খলনায়িকা হিসাবে পরিচিত অভিনেত্রী অনামিকা সাহা। এমনকি নব্বইয়ের দশকের একাধিক বাংলা সিনেমায় খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে শুধুই নেগেটিভ রোল নয়, কখনও কখনও পর্দায় স্নেহ মায়ায় ভরা মমতাময়ী মাও হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নেগেটিভ-পজিটিভ দুই বিপরীতধর্মী চরিত্রেই দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে গেছেন অভিনেত্রী।
তবে ‘ঘাতক’ ছবিতে অভিনেত্রীর ‘বিন্দু মাসি’ চরিত্রটি দর্শক আজও ভোলেননি। আর এই প্রসঙ্গেই TV9 বাংলার সঙ্গে কিছু কথা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। ‘বিন্দু মাসি’ ওরফে অনামিকা সাহার কথায়, ‘টালিগঞ্জে একমাত্র মহিলা ভিলেন আমি। একেবারে। কখনওই কোনও মেয়ে এমনভাবে ভিলেনের চরিত্র করেনি। আমি ‘ঘাতক’-এ মূল ভিলেন ছিলাম। আমি লরি চালিয়েছি জিতকে চাপা দেব বলে। সেই চরিত্র করার পর ছবি যখন হিট হল, সে আর কী বলব আপনাকে। রজতাভ (অভিনেতা রজতাভ দত্ত)-ও করেছে প্রচুর ভিলেনের রোল। তবে তাকে নিয়ে কি এমন মাতামাতি হয়?’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘গ্রামেগঞ্জে গেলে এগুলো শুনতে পেতাম, মায়েরা শিশুদের খাওয়ানোর সময় বলে, এই খেয়ে নে, নয়তো বিন্দুমাসিকে ডেকে আনব। একটা শিশুকে কোলে নিয়ে তার মা দাঁড়িয়ে আছে, কী সুন্দর দেখতে শিশুটিকে। আমার খুব ভাল লাগে বাচ্চা। আমি দু’হাত বাড়িয়ে বলি, এসো, আমার কাছে এসো, হঠাৎ দেখি আমায় দেখে কঁকিয়ে উঠল। বাচ্চাটা ওর মাকে জড়িয়ে ধরে। কিছুক্ষণ পর বাচ্চাটার মা আমায় বলে, দিদি কিছু মনে করবেন না, ও ভয় পেয়ে গিয়েছে, বলছে বিন্দুমাসি আমায় মারবে। এখনও পর্যন্ত গ্রামে গেলে মানুষজন বলে, আমরা তো বাচ্চাকে বিন্দুমাসির ছবি দেখাই। বলি, যদি বদমায়েশি করিস তবে বিন্দুমাসিকে ডেকে আনব।