
বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একজন রত্ন হলেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। তার রক্তেই রয়েছে অভিনয়। ছোট থেকে অভিনয় করার ইচ্ছে ছিল প্রবল। হবেই না কেন বাবা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় একজন দক্ষ অভিনেতা ছিলেন। তবে জানেন শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় নিজে অভিনেতা হয়েও কখনোই চাননি তার ছেলে শাশ্বত অভিনেতা হোক বরং তিনি তার ছেলেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ানোর জন্য রাজী করিয়েছিলেন।
তবে শাশ্বতের অভিনয়ের প্রতি টান তাকে অন্য পেশায় যেতে দেয়নি। যদিও পরবর্তীকালে ছেলের অভিনয় দেখে প্রশংসা জানিয়েছিলেন বাবাও। তবে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় তার ছেলেকে জানিয়ে দেন ইন্ডাস্ট্রিতে যদি নাম পেতে হয় তাহলে নিজের দক্ষতাতেই পেতে হবে। বাবা খ্যাতিতে নয়। আর বাবার সেই আদেশ ছিল শাশ্বতর প্রথম অভিনয় পাঠ।
সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল স্ট্রেটআপ উইথ শ্রী-তে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিজের জীবনের কিছু কথা তুলে ধরলেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, স্বনামধন্য পরিচালক জোছন দস্তিদারের নাটকের দলে ঘর মোছা থেকে চা দেওয়া সব কাজই করেছেন পাশাপাশি অভিনয়ও শিখতেন। শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়এর ছেলে হিসাবে তেমন সুযোগ সুবিধা তিনি পাননি। তবে তার অভিনয় ক্যারিয়ার গড়ার প্রথম থেকেই তার পাশে ছিলেন রবি ঘোষ। অভিনেতার মতে, বাবা নয়, তিনি আজ যেখানে রয়েছে সেটা শুধু মাত্র রবি জেঠুর জন্য। বাবা যেটা করেনি সেটা রবি ঘোষ করেছেন।
অভিনেতা জানান, তার পরিবারে সাথে রবি ঘোষের একটু বেশি খাতির ছিল। এমনকি রবি জেঠুর কথা শুনেই রাজা বসন্ত রায় রোডের বাড়ি ছেড়ে গলফগ্রিনে বাড়ি কেনেন বাবা। পাশেই রবি জেঠুর বাড়ি। তাই সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
অভিনেতা আরও বলেন, ‘যখনই রবি জেঠু ও জেঠিমা কোথাও রেস্তোরাঁয় খেতে যেতেন, আমার জন্য খাবার নিয়ে আসতেন। এতটাই ভালবাসতেন। অভিনয় তখন সবে শুরু করেছি। একের পর এক ডাক পাচ্ছিলাম। বুঝতে পারছিলাম, এই ডাক পাওয়াপর নেপথ্য়ে রয়েছেন রবি জেঠু। প্রথম ডাক পেলাম সমরেশ বসুর কালপুরুষ অমলম্বনে ছবির জন্য। ছবির পরিচালক শৈবাল মিত্র। আমি তো অবাক। তারপর জানতে পারলাম, আমার নাম রেফার করেছেন রবি জেঠ্যু। এক দৃশ্য করলাম। পরিচালক বললেন, ভাল হয়েছে। আরেক দিন একটা হিন্দি কাজ করছি। শট দেওয়ার পর হঠাৎ শুনতে পাই, রবি জেঠ্যুর কণ্ঠস্বর। তিনি বলে উঠলেন ভাল হয়েছে। আমি তো অবাক, কখন যে স্টুডিওতে এসে শুটিং দেখছেন বুঝতেই পারিনি। ঠিক এই গাইডেন্সটাই পেয়েছিলাম।’