‘সন্তানদের সামনে মদ-গাঁজা খেয়ে’ মিঠিঝোরার অভিনেত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক স্বামী অরিন্দমের

রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন অভিনেত্রী রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়। যাকে এই মুহূর্তে ‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকে দেখছেন দর্শক। কিছুদিন আগেই স্বামী-পরিচালক অরিন্দম চক্রবর্তীর নামে অভিযোগ তোলেন রিয়া। বহুদিন ধরেই তাঁকে ঠকানো হচ্ছে, কেবল একাধিক নারীসঙ্গ নয়, অভিনেত্রীর সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন তার স্বামী, এমনটাই জানিয়েছেন রিয়া।

রিয়ার করা অভিযোগের উত্তরে অরিন্দম ফেসবুকে লাইভে এসে পালটা অভিযোগ জানান। অভিনেত্রী নাকি মদ-গাঁজায় আসক্ত, ছেলেমেয়েদের সামনেই নেশা করে বাড়ি ফেরেন, অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমনটাই জানিয়েছেন।

বরের তোলা অভিযোগে চুপ করে বসে থাকার পাত্রী নন রিয়া। আরও একবার ফেসবুক লাইভে এসে রিয়া জানান, ভিত্তিহীন অভিযোগ করার কারণে স্বামীর নামে মানহানির মামলা করতে পারেন। বিগত ৭ বছর ধরে তিনি মাচা করছেন, যদি সত্যিই সে নেশা করতেন তাহলে এতদিন ধরে তাকে কাজ দেওয়া হত না। অভিনেত্রীকে যিনি শো দেন তিনিও লাইভে এসে রিয়ার প্রতি ওঠা অভিযোগ গুলি উড়িয়ে দেন।

সম্পর্কের তিক্ততা থেকে রিয়া ফেসবুকে লেখেন, ‘আর কোনো টক্সিসিটি চাই না। সবটাই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। বাচ্চাদের আমি নিজের কাছে রাখব। এবং নিজের সবটুকু দিয়ে ভালো মানুষ করার চেষ্টা করব। সঙ্গে নিজেকে নতুন করে তৈরি করব। বাকিটা হবে আইনিভাবে। জীবন সুন্দর আর মূল্যবান। তাই আক্ষেপের কোনো জায়গা নেই। যারা আমাকে বুঝে আমার পাশে আছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। জয় মহাদেব।’

২০১৩ সালে বিয়ে সারেন রিয়া আর অরিন্দম। বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জরাতে দেখেছেন। এমনকী, শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে একপ্রকার জোর করে বাধ্য করে, আইভিএফের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করতে। যারজন্য ৩০০টির বেশি ইঞ্জেকশন নিতে হয় তাকে। তবে সন্তান জন্মের পর থেকেই তারা আলাদা এমনটা আগেই জানায় রিয়া।

রিয়ার অভিযোগে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রমান করতে চান তার স্বামী। আনন্দবাজার অনলাইনের সাক্ষাৎকারে অরিন্দমকে বলতে শোনা যায়, ‘রিয়ার মানসিক সমস্যা রয়েছে। এর আগেও এ রকম অনেক কিছু সমাজমাধ্যমে লিখেছে। সবটাই তো ওর কল্পনা। ওর মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার আছে। এর আগেও ছোটবেলায় ওকে একটা দীর্ঘ সময় ওষুধ খেতে হয়েছে।’