‘পয়লা বৈশাখে মা প্যান্ট আর একটা গেঞ্জি কিনে দিত, এখন মা আর কিছু কিনে দেয় না…’, ছোটবেলায় নববর্ষ কেমন কেটেছে সায়কের

সায়ক চক্রবর্তী

জনপ্রিয় ইউটিউবার সায়ক চক্রবর্তী। টেলি দুনিয়া থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, তাকে চেনে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। কেরিয়ারের শুরু ছোটপর্দা দিয়েই। তার ফাঁকেই ব্লগিং করে জনপ্রিয় হয়েছেন খুব অল্প সময়ে। বেশকিছু দিন হয়েছে স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে কামব্যাক করেছেন সায়ক।

কাজের ব্যস্ততার মাঝেই আজতাক বাংলার সঙ্গে আড্ডায় বসলেন সায়ক। সাক্ষাৎকারে জানালেন প্রত্যেকবারের মত এবারের পয়লা বৈশাখের প্ল্যান। সায়কের কথায়, প্রতি বছরই পয়লা বৈশাখের দিনে কোন শো কিংবা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার আমন্ত্রণ পান সায়ক। এই বছরও একটা শাড়ির দোকানের উদ্বোধনে যাবেন তিনি। এমনকি বাড়ি ফিরে পরিবারের সকলের সাথে কোন বাঙালি রেস্তোরাঁতে খেতে যাওয়ার প্ল্যানও রয়েছে তার।

পয়লা বৈশাখ মানেই চুটিয়ে খাওয়া-দাওয়া আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, এমনটাই মনে করেন সায়ক। বাংলার নতুন বছরে মায়ের জন্য অনেক শাড়ি ছাড়াও পরিবারের বাকি সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক কিনেছেন।

ছোটবেলায় কেমন কাটত সায়কের পয়লা বৈশাখ? এই প্রসঙ্গে সায়ক বলেন, ‘আমার বাড়ি সোনারপুরের মোড়ের মাথায় আর সেখানে প্রচুর দোকানে হালখাতা হত। সেই সব দোকানে গিয়ে আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জিনিস দেখতাম, কেউ আমাকে কিছু কিনে দিত না তখন। কিন্তু পয়লা বৈশাখের দিন সেইসব দোকানে গেলে আমায় রসনা দিত বা ভ্যানিলা আইসক্রিম বা টুইন ওয়ান আইসক্রিম।’

‘মাসি আমায় পুজোয় জামা দিত আর জন্মদিনে। আর পয়লা বৈশাখে মা টাকা জমিয়ে পাতলা ঘরে পরার প্যান্ট আর একটা গেঞ্জি দিত। সেটা মা এখনও দিতে পারে, কিন্তু দেয় না। বহুবছর হয়ে গেল মা আর এই জিনিসগুলো দেয় না আমায়।’