নিজের জীবনের কিছু অজনা কথা আনন্দবাজার অনলাইনকে শেয়ার করলেন তারকা-বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক হন মাঝে মধ্যেই। যতদিন অভিনয় জগতে ছিলেন তাকে শুনতে হয়েছে কোটি টাকার মালিক। অভাব কী বুঝবেন! আবার যখন রাজনীতিতে আসেন তখন তাকে অনেকেই বলেছেন নিশ্চয়ই কোনও ধান্দা আছে। মনে জমে থাকা সেসব ক্ষোভ এবার উগড়ে দিলেন অভিনেতা।
হিরণ চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনি এসমস্ত কটাক্ষের কখনোই পাত্তা দেননি। কারণ তিনি মাটির কাছ থেকে উঠে আসা মানুষ। অভাব কি তা জানেন। একটা সময় ছিল যখন নুন আনতে পান্তা ফুরায়। উলুবেড়িয়ার প্রত্যন্ত এক গ্রামে থাকতেন। তাদের মাটির বাড়ির টালির ছাদ। বর্ষাকালে ভাঙা টালি চুঁইয়ে অঝোরে জল ঝরত। বৃষ্টিতে ঘর ভেসে যেত।
এরপরে হিরণের জীবনে অর্থের অভাব আরও ভয়াবহ রুপ নেয়। অভিনেতা তথা বিধায়ক জানান, ‘‘অর্থের অভাবে অসুস্থ বাবার চিকিৎসা করাতে পারিনি। ১৯৯৭-এ বিনা চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন বাবা। তার তিন মাসের মাথায় মা-ও চির-বিদায় নেন। আমি অসহায়ের মতো শুধু দেখেছি।’’
বাবা-মাকে হারিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তারপর অনাহারে দিন কাটত তার। ঘরে বন্দি হয়ে যন্ত্রণার উপশম খুঁজতেন। এক সময় উঠে দাঁড়ানোর শক্তি হারিয়ে ফেলেন অভিনেতা। সেই সময়ে চলে এসেছিলেন রাজা রামমোহন রায় রোডের নগেন্দ্র মঠে। সেখানে তিন বছর ব্রহ্মচর্য আশ্রমও পালন করেছিলেন। কিছুটা মানসিক স্বস্তি পেয়েছিলেন। তাই হিরণ চট্টোপাধ্যায় মনে করেন। যেই মানুষ এত কাছের থেকে অন্ধকার জীবন উপলব্ধি করেছেন তাকে কোনও অনুভূতিই আর স্পর্শ করে না।
সূত্রঃ anandabazar . com/entertainment/hiran-chatterjee-shares-his-childhood-struggle-with-anandabazar-online-in-a-janakotha-dgtl/cid/1322682