এমন অনেক প্রতিভাবান অভিনেতারা রয়েছেন যারা নিজেকে একজন দক্ষ অভিনেতা হিসাবে বড়পর্দায় প্রমাণ করেছেন। কিন্তু জনপ্রিয় সিনেমার মুখ হলেও টলিউড তাদের দেয়নি যোগ্য সম্মান। তাদের মধ্যেই একজন হলেন অভিনেতা ভাস্কর ব্যানার্জী।
অভিনেতা ভাস্কর ব্যানার্জী বলতে, যেমন সুন্দর দেখতে তেমন সুন্দর গুণ। তিনি একসময় পর্দায় জনপ্রিয় মুখ ছিলেন যখন সাদাকালো পর্দা থেকে মানুষ সবে রঙিন পর্দা ছবি দেখতে শুরু করেন, বলাই যায় মহানায়ক উত্তম কুমারের পরবর্তী সময়ে নায়ক হিসাবে আবির্ভাব হয় ভাস্কর ব্যানার্জীর।
টলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং প্রযোজক মন্টু ব্যানার্জীর ছেলে ছিলেন অভিনেতা ভাস্কর ব্যানার্জী।তাঁর রক্তেই ছিল অভিনয়। অভিনয় নিয়ে আগ্রহ ছিল ছোটবেলা থেকে। একসময় তাঁর বাবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে আসতেন কফি হাউসে, সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন অভিনেতাকে। সেইসময় সমরেশ বসু তার ‘কালপুরুষ’ ছবির জন্য তাঁকে সুযোগ দেয়, কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই ছবি মুক্তি পায়নি। এরপর হীরেন নাগ পরিচালিত ‘টুনি বউ’ ছবির হাত ধরে প্রথম অভিনয়ে পা রেখেছিলেন ভাস্কর ব্যানার্জী।
এরপর একের পর এক সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয়। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছেল ‘শ্বেত পাথরের থালা’ ছবিতে তাঁর অভিনয়। এই সিনেমায় অনুশ্রী দাসের সঙ্গে তাঁর জুটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। ‘অতি উত্তম সিরিজে’র ‘দেওয়া নেওয়া’ পর্বে উত্তম কুমারের ভূমিকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন।
তবে এত ভালো একজন অভিনেতা যোগ্য সম্মান পেলেন না ইন্ডাস্ট্রিতে। বড় পর্দায় থেকে তাঁকে একেবারে সরিয়ে দেওয়া হল। যদিও ভাস্কর ব্যানার্জী কখনোই নেপোটিজমকে দায়ী করেননি। তবে যার অভিনয় দক্ষতা এত ভালো তাঁকে কি থামিয়ে রাখা যায়? বড়পর্দা মর্যাদা না দিলেও তাঁকে দুই হাতে আপন করে নিয়েছেন ছোটপর্দা। বর্তমানে ‘এক্কা দোক্কা’ ধারাবাহিকে নায়কের বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন ভাস্কর। ছোটপর্দায় তাঁর অভিনয় দেখতে পেরে খুশি তাঁর অনুরাগীরা।
Source: binodonxp . com